একাত্তর ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মায়া কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জামায়াত জোট আমলে যখন আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছিল, তখন ফখরুল সাহেবদের মানবতা কোথায় ছিল?
আর এখন ফখরুল সাহেব জনগণের সিমপ্যাথি (সমবেদনা) নেওয়ার জন্য মায়া কান্না শুরু করেছেন।
বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে ঢাকায় রিকসা চালাচ্ছে। তার কথা সঠিক নয়। তার দলের যারা ঢাকায় রিকসা চালায় তারা সন্ত্রাসী। তারা মানুষ পুড়িয়ে, হত্যা করে পালিয়েছে। আর তাদের জন্য ফখরুল সাহেবের চোখে পানি।
রোববার বিকেলে যশোর জিলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় তিনি এইসব কথা বলেন। সভায় আগামি ২৬ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মেলন প্রসঙ্গে বিশেষ বর্ধিত সভার সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলা ইউনিটের সম্মেলন করতে হবে। তৃণমূল থেকে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। অনেক এমপি সংগঠনের বাইরে ইউনিয়ন কমিটি করতে চান। এটা মেনে নেওয়া হবে না। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী কমিটি গঠন করবে। দলের প্রতি বর্তমান নেতৃত্বকে আরও আন্তরিক হতে হবে। দায়সারা দায়িত্ব পালন করলে হবে না। দায়সারা দায়িত্ব পালন করলে, আগামি সম্মেলনে তাদেরকেও দায়সারাভাবে বিদায় দেওয়া হবে।
নৌকার বিরোধীতাকারী এমপিদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা সংসদ নির্বাচনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নেয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপির পছন্দের বাইরে তৃণমূলের কেউ নৌকা পেলে (এমপি) তিনি নাখোশ হবেন। বিরোধিতা করবেন। এটা হবে না। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন অনেক এমপি। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছেও রিপোর্ট আছে। যেসব এমপি নৌকার বিরোধীতা করেছেন তারা আর কোন দিন নৌকা পাবেন না। সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বিশেষ বর্ধিত সভায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। তিনি তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন ও পারভীন জামান কল্পনা। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, যশোর-৫ আসনের এমপি এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-১ আসনের এমপি আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনের এমপি রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৬ আসনের এমপি ইসমাত আরাসহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুজিবুদ্দৌলাহ সরদার কনক।