মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যশোর পৌর শাখার বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে আজ উন্নতির চরম শিখরে পৌছেছে বাংলাদেশ। সারাদেশে মেগাপ্রকল্পগ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যশোরের প্রতি নেত্রীর আলাদা দৃষ্টি রয়েছে। এজন্য তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমাতায় এসে যশোরকে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, আইটি পার্ক স্থাপন, সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালে হাসপাতালে উন্নতিকরণ, যশোরবাসীর প্রাণের দাবী ভৈরব নদ খনন, এয়ারপোর্টের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ হতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদকে শক্তহাতে দমন করেছে এই সরকার। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। যেহেতু আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন তাই এর মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কিন্তু সকল দ্বন্দ্ব, অভিমান, অনুযোগ বাদ দিয়ে কীভাবে নৌকাকে বিজয়ী করা যায় সেই চিন্তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান
পিকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুরল ইসলাম, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপত্বি করেন যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যড. আবুল হোসেন ও
সঞ্চালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান লাল।
অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সদর আসনের কাউন্সিলরগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। একদল স্বাধীনতার পক্ষে ও অপরদল স্বাধীনতার বিপক্ষে। নৌকাকে বিজয়ী করলে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধীদের সকল ষঢ়যন্ত্রের অবসান ঘটবে। এজন্য নৌকাকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে তবে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হবে। হাজারো মা তাদের সন্তানকে হারাবে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান-পাকিস্তানে পরিণত হবে। তাই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নৌকাকে বিজয়ী করতে সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করার শপথ গ্রহণ করেন তারা।