ঝিকরগাছা বাজারে পিঁয়াজের পরে লবণ নিয়ে লঙ্কাকান্ড , তাৎক্ষনিক এ্যাকশান

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

আবুল কালাম আজাদ, ঝিকরগাছা (যশোর) অফিস : প্রবাদে বলে হুজুগে বাঙালী। যার বাস্তবে মিললো ঝিকরগাছা পৌর বাজারে। পিঁয়াজ নিয়ে গড়ে ওঠা গুজবকে কাজে লাগিয়ে দেশের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা তাদের স্বার্থ হাঁচিল করার জন্য এবার তাদের নজর পড়েছে লবণের উপর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর থেকে কে বা কারা গুজব রটিয়েছে লবণ এখন সোনার হরিণের রূপ নিয়েছে। লবণের দাম বেড়ে যাবে ও পাওয়া যাবেনা। এই খবর কিছু সময়ের মধ্যে স্থানীয় বার সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মোড় সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ঘর থেকে বাহির হয় লবণ নামক সোনার হরিণ কিনতে। চরম বিশৃংখলা পরিবেশের সৃষ্টি হয় লবণের গুজব নিয়ে। বাজারে শুরু হয়ে যায় লবণ বিক্রির ধুম। ১৫টাকার লুচ লবণ বিক্রয় হয় ৪০-৬০টাকা দরে এবং ৩৫ টাকার প্যাকেট লবণ বিক্রয় হয় ৮০-১০০টাকা। তারপরও ক্রেতারা যে-যার মতে পাঁচ, দশ ও পনের কেজি করে কিনে ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে সংরক্ষণ করেছে। যা দেখা গেছে একটি পরিবারের ১বছরের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি থাকবে। এ সংবাদ শুনে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস ও থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুর রাজ্জাক’র সহযোগিতায় তাৎক্ষনিক বাজারের জনসচেতনতায় মাইকিং করে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়াও বাজারে তাৎক্ষণিক এ্যাকশানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নামেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস ও থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুর রাজ্জাক। এসময় দোকানী ও ক্রেতাদের উদ্যোশে বলেন, আমাদের সমুদ্র রয়েছে। আমাদের দেশেই লবণ তৈরী হয়। এটি একটি গুজব, কেউ এই গুজবে কান দিবে না। পুর্বের দামেই লবণ বিক্রি করার কথা এবং দোকানীদেরকে বলেন সাধারণ ক্রেতাদের কাছে আপাতত এক প্যাকেটের বেশী লবণ দিবেন না বলে অনুরোধ করেন। এসময় তাদের সফর সঙ্গী ছিলেন থানার তদন্ত ওসি শেখ আবু হেনা মিলন, নবাগত সেকেন্ড অফিসার এসআই (নি:) দেব্ররত দাস, এসআই সুরঞ্জিত রায়, এসআই সিকদার রাবিক উদ্দীন, এসআই সাহিদুজ্জামান, এএসআই জয়ন্ত কুমার, উপজেলা পরিষদের পেশকার মো: শাহাজালাল প্রমুখ।

Please follow and like us: