যশোর অফিস :আসন্ন যশোর সদর উপজেলা পরিষদ উপ নির্বচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকশিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর উপকমিটির সদস্য দেলোয়ার রহমান দিপু।
সাবেক এ তুখোড় ছাত্র নেতা জানান, তিনি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে একটি পরিছন্ন আধুনিক এবং নাগরিক সমস্যামুক্ত উপজেলা গড়ে তুলবেন। তিনি ইতিমধ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বলে মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছেন। তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা তার নির্বাচনী পরিকল্পনা ও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে তার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ওয়ান এলিভেনে নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে কারা নির্যাতিত একজন কর্মী। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্য দেশ রত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার পলিটিক্যাল প্রফাইল দেখে যদি মনে করেন আমি যোগ্য প্রার্থী তাহলে আমি মনোনয়নে শতভাগ আশাবাদি ইনশাআল্লাহ।
মিষ্টভাষী সদালাপী তরুন নেতা দেলোয়ার রহমান দিপু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর উপ কমিটির সাবেক সদস্য, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক , ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক একনিষ্ঠ কর্মী (২০০১-২০০৪) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । যশোর ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার অনেক অবদান রয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ওয়ান ইলেভেনে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী, বিএনপি জামাত ক্ষমতাসীন সময়ে চারটি রাজনৈতিক মামলার আসামী।নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কোমলমতি শীক্ষার্থীদের ঘরে ফেরানো ও আন্দোলন কে উস্কানিমুক্ত রাখতে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন।
দেলোয়ার রহমান দিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ অনার্স, এমএ(বাংলা) সম্পন্ন করে বর্তমানে বাংলা প্রভাষক হিসেবে ঢাকা সিটি কলেজে কর্মরত রয়েছেন।
দেলোয়ার রহমান দিপুর স্ত্রী ডা.মল্লিকা ইতি রুনী স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজের রুমানা পারভিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সোহাগ নাজমুল কমিটির নির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক, এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কিমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেলোয়ার রহমান দিপু জানান, জাতীর জনক সপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন । আমিও সোনার বাংলা গড়ার সহযোগি হিসেবে কাজ করতে ও তৃণমূলের মাটি মানুষের সাথে মিশতে চাই। তিনি বলেন, আমি অনেক বেশী বেতনের চাকুরি ফিরিয়ে দিয়ে শিক্ষকতা বেছে নিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই পরোপকারী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠেছি।
দেলোয়ার রহমান দিপু আরও বলেন, মানবতার মা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ । উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে সমস্যা গুলোকে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে চাই। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে সচেতন নাগরিকদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিস্তারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, অবহেলিত গ্রামগুলোতে রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি , পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং সকল নাগরিক সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবো। আমার উপজেলার প্রতিটি অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এ এলাকার জনসাধারণের জন্য বিগত দিনেও কাজ করেছি আগামীতেও টেকসই উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাই।
যশোর সদর উপজেলা কে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব মুক্ত করণ, নারী শিক্ষার হার বাড়ানো মাতৃ মৃত্যুর হার কমানোর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বাড়ী বাড়ী প্রশিক্ষিত সেবিকা পাঠিয়ে নারী সচেতনতা বৃদ্ধি, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন, রাস্তাঘাট সংস্কার, বাল্যবিবাহ রোধ, সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন সহ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে রয়েছে দিপুর ব্যতীক্রমী রোডম্যাপ।
দেলোয়ার রহমান দিপু যশোর সদর উপজেলার ১২ নং ফতেপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর (বাবুপাড়া) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই- আলম তোতার সন্তান।
সুত্র: টাইম ভিশন ২৪