শেখ গফ্ফার রহমান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
যশোর সদর উপজেলার ঐতিয্যবাহী বসুন্দিয়া বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও “বাংলাদেশের জাতীয় ফল” কাঠালের হাট বসেছে।
তবে প্রচন্ড গরমে কাঠালের পাইকারী ক্রেতা কম বসুন্দিয়া ও বাসুয়াড়ী ইউনিয়নে এবারও কাঠালের বাম্পার ফলণ হয়েছে।
বসুন্দিয়া বাজারে হাটবসে প্রতি শনিও মঙ্গলবার এখান থেকে মূলত কাঠাল দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলা গুলোতে সরবাহ হয়ে থাকে।
যেমন খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের কাঠালের ব্যাপারীরা নৌপথ, স্থালপথ ও রেল পথে কাঠাল সরবাহ করে থাকেন।
কিন্তু তিব্র তাপদাহে এবারের কাঠালের বেচা-বিক্রিতে বেশ মন্দাভাব।
প্রতি একশত পিচ কাঠালের দাম পাইকারী দুইহাজার টাকা থেকে সর্বাচ্চ ছয় হাজার টাকাতে বিক্রি করতে দেখা গেছে কাঠাল চাষিদের।
বেশ কিছু কাঠাল চাষির সংগে আলাপ করে জানা যায় দিন দিন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেমন ফলন কমে যাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে বেচা-বিক্রিও কম হচ্ছে।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে কাঠাল গাছ মেরে জমিতে লাভজনক অন্য কোন ফসল করা ছাড়া বিকল্প থাকবেনা।
তাই এই জাতীয় ফল কাঠাল বিদেশে রপ্তানি করে দেশের সুনাম এবং বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন অত্র এলাকাবাসী।