ক্ষমতা কারো চিরকাল থাকে না। ক্ষমতায় থাকাকালীন চারপাশে ভিড় করে থাকা সুখ-পাখীরাও ক্ষমতার পালা বদলে উড়ে চলে যায় নতুন ক্ষমতাসীনের কাছে। এ পরম্পরা রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। তাদের বদলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয়। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
পদ হারানোর পরই শোভন-রাব্বানীর পাশে নেই কেউ। সবাই ব্যস্ত নতুন দুই কাণ্ডারির বন্দনায়। সামাজিক গণমাধ্যমেও চরছে জয়-লেখক বন্দনা। অনেকেই এমন দ্বিচারিতার সমালোচনাও করছেন অনেকে।
সেই সমালোচনায় যেন নতুন করে ঘি ঢাললেন ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার। কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক এই জিএস ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘অভিনন্দন জয় ভাই, এটা আপনি ডিজার্ভ করেন।’
ছবিটি প্রকাশের পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এর মাত্র চারদিন আগে ১১ সেপ্টেম্বর সদ্য পদ হারানো সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর জন্মদিনে তিলোত্তমার পোস্ট করা আরেকটি ছবি। রাব্বানীর সঙ্গে দেওয়া সেই ছবিতে তিলোত্তমা লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন মানবিক নেতা।’
দুটি ছবি একত্রে করে নেটিজেনদের এখন একটাই প্রশ্ন ‘তবে কি ক্ষমতা পাল্টালেই মানুষগুলো এভাবে পাল্টে যায়?’