যশোরের বোলপুর গ্রামে সরকারি চাল আত্মসাৎ করার ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করছে টুটুল সিন্ডিকেট। যুবলীগ নেতা মুক্তার হোসেনসহ তিন নেতাকর্মীকে মারপটি করে উল্টে তাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে চক্রটি। ১০ নভেম্বর টুটুলের মা সালেহা খাতুন আট জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর রাতে তার মেয়েকে মারপিট করেছে যুবলীগ নেতা মুক্তার হোসেন, পারভেজ বিশ্বাস ও ইমরান হোসেনসহ ৭-৮ জন। কিন্তু ৮ নভেম্বর টুটুল বাহীনির হামলায় অভিযুক্তরা আহত হয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতেই চিকিৎসক তাদের ঢাকায় রেফার করেন। ৯ নভেম্বর সকাল সাত টায় আহত মুক্তার ও পারভেজ উন্নত চিকিৎসার জন্যে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা যান। তাহলে ঢাকা চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্তরা কেমন করে টুটুলের বোনকে মারপিট করেছে গ্রামে প্রশ্ন উঠেছে। শুধুমাত্র প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
বোলপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, এক মাস আগে গ্রামের সরকারি চালের ডিলার হাসানুর রহমান টুটুল দরিদ্র মানুষকে বঞ্চিত করে ওই চাল গ্রামের আশরাফুল উলুম কওয়ামী মাদ্রাসায় ১৭ টাকা দরে ৪৫ বস্তা চাল বিক্রি করে দেন। ওই সময় গ্রামবাসী ডিলারের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ১১ নভেম্বর সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পান ও তিনি ওই চাল জব্দ করেন। ওই সময় টুটুল সন্দেহ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার বিশ্বাস তাকে প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকেই তাদের দু’জনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। রোবাবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মুক্তার বোলপুর গ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পার্টি অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় চাল চোর টুটুলের নেতৃত্বে টিপু, হাবিব, তাহের, রুবেল, জিয়ারুলসহ ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাংচুর করেন ও তিন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ঘটনার দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর মোমিন নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ক্ষমাতাশীন দলের এক নেতার নাম ভাঙিয়ে ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য করে টুটুল। পরে অভিযোগ প্রমান হলে তিন শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিত করা হয়।
আহত মুক্তারের ভাই পারভেজ বিশ্বাস জানান, তার ভাইকে নিয়ে তিনি এখনও ঢাকায় চিকিৎসাধীন। একটি মানুষ একই সময়ে ঢাকা ও যশোরে কেমন করে থাকে? শুধুমাত্র সরকারি চাল চুরির প্রতিবাদ করায় তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।