শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, যশোর জেলা শাখা কর্তৃক আজ ১৭ ই আগস্ট ২০২২, বেলা ১২ টার সময় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সংগ্রামী বিপ্লবী সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেননের উপর ১৯৯২ সালে ১৭ ই আগস্ট এ হত্যা প্রচেষ্টার এই দিনে সন্ত্রাস বিরোধী দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
উক্ত মানববন্ধন বক্তব্য রাখেনঃ- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট আবু বক্কর, জেলা সাধারণ সম্পাদক বাঘারপাড়া উপজেলার ২ নং ববন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমরেড সবদুল হোসেন খান, যশোর জেলা শাখার সম্পাদকমন্ডলির সদস্য কমঃ বৈকুন্ঠ বিহারী রায়, কমরেড শামিম হোসেন, শেখ গফ্ফার রহমান প্রমূখ, সঞ্চালনায় ছিলেন কমরেড ইউনুস সিকদার।
বক্তাগণ বলেনঃ৭হত্যা, গুম, খুন, হত্যা প্রচেষ্টার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে অতীতেও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংগ্রাম করেছে, হত্যা গুম রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাঠে ময়দানে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ শপথ ব্যক্ত করেছেন বক্তাগণ।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছে , কমরেড রাশেদ খান মেননকে যারা হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ তার দলীয় নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের সাথে কখনই ওয়ার্কার্স পার্টি আপস করবে না বরং যুদ্ধ করবে ।
কিন্তু যারা জয় বাংলা স্লোগান মুখে ধারণ করে, বুকে ধারণ না করে ছয়লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বা পাচারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সংগ্রাম-যুদ্ধ অবিরাম চলবে ।
বক্তাগণ আরো বলেন – সার ডিজেল পেট্রোল অকটেন এর মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার, সমাজ দেশে অস্থিতিশীল এবং ভয়াবহ সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতির ওপর ঠেলে দিয়েছে সরকার। মানুষ যে কত সংকটে তা বর্ণনা বা ব্যাখ্যা করে বোঝানো যাবে না। নিম্নবিত্ত সর্বহারা, শ্রমিক, খেতমজুর সহ মধ্যবিত্ত শ্রেণী এক মহা সংকটে নিপতিত হয়েছে ।
বক্তারা বলেন ভাবা যায়! চা শ্রমিকদের প্রতিদিন মাত্র ১২০ টাকা মজুরী দেওয়া হয় । তাদের ৩০০ টাকার দাবির লড়াইয়ের সাথে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, যশোর জেলা একাত্মতা ঘোষণা করছে ।
কিছু দাও, কিছু নেও এই নীতিমালা প্রত্যাহার করে ষাটোর্ধ্ব বয়সের মেহনতী মানুষদের পাচ হাজার টাকা মাসিক পেনশন এর ব্যবস্থা করার দাবী জানান ।
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে ।
ইজিবাইকসহ তিন চাকা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে হবে এবং উঠতে-বসতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হবে, এবং সংসদে নিপীড়নবিরোধী আইন পাশ করতে হবে ।