যশোরে একযুগ পর মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শুরু
যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও বসেছে শিল্প ও বাণিজ্যের জমজমাট আয়োজন। যশোর চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে শনিবার (১২ এপ্রিল) শহরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এফবিসিসি আইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, উপস্থিত ছিলেন মেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম চান, সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসেন বাবুসহ ব্যবসায়ী ও সমাজিক নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “একজন উদ্যোক্তা যখন কোনো পণ্য উৎপাদন করেন, তখন সেটি প্রদর্শনের জন্য বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হয় মেলা। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। তবে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পথ মসৃণ হয় না, বরং তা কঠিন হয়ে ওঠে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের মেলা কেবল বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরারও একটি মাধ্যম। উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এমন আয়োজন আরও বাড়ানো দরকার।”
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, “এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি করা এবং স্থানীয় উৎপাদন ও পণ্যের প্রসার ঘটানো। যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য মেধাবী উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা নিজেদের পণ্য প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন না। এই মেলার মাধ্যমে আমরা সেই সুযোগ তৈরি করতে চাই।”
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে শতাধিক স্টল। থাকছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মানের পোশাক, হস্তশিল্প, ইলেকট্রনিক্স, খাদ্যপণ্য, গৃহসজ্জাসামগ্রীসহ নানা ধরনের পণ্যের সমাহার। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে থাকছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য ও উদ্ভাবন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মাসব্যাপী এই মেলায় শিশুদের জন্য অসংখ্য বিনোদন রাউন্ড রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
এক যুগ পর এমন একটি আয়োজন শহরবাসীকে যেমন উৎসাহী করেছে, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যেও নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে। মেলার মাধ্যমে যশোরের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে বলেও প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Please follow and like us: