ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারাদিন নানা কর্মসূচি ছিলো। বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয় পুনর্মিলনীর। কিন্তু এসবের কোনোটিতেই আমন্ত্রণ পাননি সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। অনুষ্ঠানে সাবেক নেতাদের নাম ঘোষণার সময়ও স্থান হয়নি তাদের। রাতেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চান। প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ নিয়ে স্বপ্নের অপূর্ণতার কথা।
রাব্বানীর সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের অভিলাষ নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘ইতিবাচকতার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। চলার পথের নানা বন্ধুরতা, অসাবধানতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর বোধ করি শতভাগ প্রচেষ্টার অভাবে স্বপ্নটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘স্নেহ-ভালোবাসার প্রিয়মুখ জয়-লেখকের হাত ধরে সে আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূর্ণতা পাক, এই প্রত্যাশা। অন্তর্নিহিত দোয়া, শুভকামনা আর পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে তোদের জন্য। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকা হাতে পথ চলতে গিয়ে ছাত্রলীগ পরিবারের কাউকে বঞ্চিত করে থাকলে, কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি, নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। ভালো থাকুক প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ভালো থাকুক আমার আত্মার পরম আত্মীয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের সকল সদস্য।’
উল্লেখ্য, চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় কমিটির ১ নম্বর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্ণ দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য।