১৫ বা ২১আগস্টের আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কাজী নাবিল আহমদ

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

কামাল হোসেন, যশোর অফিস :

বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় যশোরে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ মদদেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হামলার মূল নায়ক হচ্ছেন তারেক রহমান। তার মা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশেই সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।


নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খুনিরা ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। সেদিন তিনি বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী শাহাদতবরণ করেন।


যশোর জেলা যুবলীগের আয়োজনে শহরের চিত্রা মোড়স্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে আসা একের পর এক শোকর‌্যালি শহরব্যাপী জনসমাগমের সৃষ্টি করে।

যশোর জেলা যুবলীগের শোকসভায় বক্তব্য রাখেন যশোর -২ আসনের সাবেক সাংসদ মনিরুল ইসলাম –ছবি একাত্তর নিউজ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। প্রধান আলোচক ছিলেন যশোর-৩ (সদর) আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, যশোরের সাবেক পৌরমেয়র শ্রমিকলীগ নেতা কামরুজ্জামান চুন্নু, এমপি নাবিল আহমেদের সহধর্মিণী কাজী মালিহা মান্নান আহমেদ।

  যশোর জেলা যুবলীগের শোকসমাবেশের মিছিল

জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর হেলাল, আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী, জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেন, জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়েদ মেহেদী হাসান, মনির হাসান টগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন মিঠু, আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন মুকুল, জাহিদুর রহমান লাবু, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোস, যুগ্মআহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু প্রমুখ।


জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো দাবি করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, জিয়া শুধু খুনিই নন, তিনিই ইনডেমনিটি জারি করে খুনিদের রক্ষা করেছিলেন এবং বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা খুনিদের পুরস্কৃত করে, তারা খুনিদের দল হবে না কেন? বিএনপির জন্ম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কাজী নাবিল আহমেদ এমপি বলেন,১৫ বা ২১আগস্টের আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আরও বলেন  ১৫ আগস্ট শুধু একটি পরিবারকে হত্যা নয়, বরং এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাস মুছে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যার অবদান, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা মুছে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম একেবারে ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদদ দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, সেভাবে খালেদা জিয়াও খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, কারবালায় যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। ১৫ আগস্ট যেনো কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো ৩২ নম্বরে। সেদিন ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেঁচে যান। জনগণের ভালোবাসায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের সেই চক্রান্ত থেমে যায়নি। এখনও পর্যন্ত দেশি ও বিদেশি চক্রান্ত চলছে। আমাদের সর্বত্র সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার, উপদপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, ঝিকরগাছা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন প্রমুখ।

Please follow and like us: