ডাক্তার বলেছেন কোলেস্টেরল রক্তে বেশি। জানলেন বদলাতে হবে খাদ্যাভ্যাস (ডায়েট) এবং জীবনশৈলীতে আনতে হবে পরিবর্তন। তা না হলে আছে হৃদ্রোগের সমূহ আশঙ্কা। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ দিলেও জীবনযাপনে বদল আনতে হয়।
চিনে নিন ভালো আর মন্দ কোলেস্টেরল
শরীরের জন্য কোলেস্টেরল চাই। কিন্তু অনেকের রক্তে থাকে বেশি মাত্রার মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কোলেস্টেরল। খুব বেশি প্রাণিজ চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে বাড়ে এলডিএল। রক্তে এটি খুব বেশি হলে করোনারি ধমনির ভেতর গায়ে জমে চর্বি পলির মতো স্তরে স্তরে। পরিণতি হার্ট অ্যাটাক। ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল রক্ত থেকে এলডিএল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
হাতের তালু হলো পরিমাপ
বাইরে খাবেন। বেশি খেলে মুশকিল। মাছ বা মাংস হাতের তালুতে যতখানি ধরে ততখানি খান। তাজা ফল, এক মুঠি। বাদাম বা রান্না সবজি, ভাত বা পাস্তা এক খোলা মুঠিতে যেটুকু ধরে।
খাবার প্লেটে দিন ফল, সবজি প্রচুর। ওমেগা ৩—মাছ খান। তৈলাক্ত মাছ ভালো। দিন শুরু হোক হোল গ্রেন দিয়ে। এক বাটি ওট মিল। এর আঁশ খুব হিতকর। লাল আটার রুটি ও সবজি।
বাদাম দিয়ে নাশতা হতে পারে। এক মুঠো আমন্ড, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম। তেল হবে আনস্যাচুরেটড। কেনোলা, জলপাই, সূর্যমুখী তেল ভালো। ঘি, মাখন না। সুশর্করা—বিনস, হোল গ্রেন, লাল চাল, লাল আটা।
হোক শরীরকর্ম
সপ্তাহে পাঁচ দিন আধা ঘণ্টা করে শরীরচর্চা। আর সপ্তাহে তিন দিন একটু কঠোর। যেমন দৌড়ানো।
দ্রুত হাঁটা
দ্রুত হাঁটা খুব হিতকর। জিম দরকার নেই। সক্রিয় হন যত্রতত্র। বাগানে, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা, ঘরের কাজ।
বাইরে খেতে সতর্কতা
রেস্তোরাঁর খাবারে অনেক চর্বি, ক্যালরি, নুন। বেছে নিন সেঁকা, ভাপে সেদ্ধ, গ্রিল করা খাবার। তবে ভাজা নয়। মিল অর্ধেক খান বাকি বক্সে নিন।
চাপ সামলান
স্ট্রেস বা চাপ সামাল দিন। ধ্যান, প্রাণায়াম করুন। ওজন নিন। সঠিক ওজন বজায় রাখুন। অগ্রগতি লিখে রাখুন।