ফটোসেশন করে কৃষকদের সাথে প্রহসন করছে ক্ষমতাসীনরাঃ রাশেদ খান মেনন
শেখ গফ্ফার রহমান, যশোর প্রতিনিধি :
০১ জুন ২০১৯ ইং, রাজধানীর তোপখানা রোডে দলীয় অফিসে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন,
কৃষক-খেতমজুর সংগঠনের শক্তিহীনতার কারণে প্রতিটি সরকারই কৃষক- খেতমজুরদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারে। তাদের নিয়ে প্রহসন করতেও তারা কম যায়না।
কামলা দেয়ার নামে ক্ষমতাসীনদের ফটোসেশন তার প্রমান।
কৃষক ধান কাটার লোক চাইনা, ধানের লাভজনক মূল্য চায়।
তার বদলে মন্ত্রী কর্তা ব্যক্তিরা কামলার দাম বেশী হয়ার আজগুবী দোষ খুঁজে পেয়েছেন।
কৃষক-খেতমজুরকে পরস্পরের মুখোমুখি দাড় করাচ্ছেন এই ধান কাটা খেতমজুর বছরে ছয় মাস কাজ না পেয়ে দিন কাটায়। শহরে এসে রিক্সা চালায়, ইটের ভাটায় কাজ করে কিছু উপার্জন করে জীবন বাঁচায়।
কৃষককে নিয়ে এ ধরনের প্রহসনের খেলা বন্ধ করতে হবে। তার জন্য তাই আন্দোলন ও সংঠন গড়ে তুলতে হবে।
কৃষক- খেতমজুর কনভেনশন সেই লক্ষ্যে কার্য্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ শনিবার জাতীয় কৃষক সমিতি ও খেতমজুর ইউনিয়নের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য অনুুুষ্ঠানে আগামী ১৫ জুন ২০১৯ রাজধানীর মহানগর নাট্টোমঞ্চে কৃষক- খেতমজুর কনভেনশনের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দেশের জনসংখ্যার বৃহদাংশ কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় তা হলে কৃষক কেবল ক্ষেতেই আগুন দেবেনা, ভারতের কৃষকের মত মৃত্যুর পথ বেছে নেবে বলে সর্তক করে দিয়েছেন সরকারের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মেনন আরো বলেন, বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, বন্দর নির্মানের মেগা-প্রকল্পের মত কৃষি পন্য গুদামজাতকরনের জন্য কৃষি ক্ষেত্রেও প্রতি ইউনিয়নে সাইলো নির্মানের মেগা-প্রকল্প এই বাজেটেই নিতে হবে। রপ্তানির নামে চালকল মালিক ও রপ্তানিকারদের প্রনোদনার নামে অর্থ দেয়ার পরিবর্তে কৃষকের পণ্য সংরক্ষন ও বিপণনে ভতুর্কি দিয়াটাই হবে যুক্তিযুক্ত।
আরও উপ স্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক সমিতি এবং বাংলাদেশ ক্ষেত মুজুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।