একাত্তর নিউজ ২৪ ডেস্ক :যথাযোগ্য মর্যাদায় যশোরে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে যশোরের রায়পাড়া শংকরপুর বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে যশোরবাসী। এদিন সকাল আটটায় জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পুলিশ বাহিনীর পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, প্রেসক্লাব, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়।
যবিপ্রবি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, একটি জাতি গঠন ও অগ্রগতি কেমন হবে-এর পেছনে বুদ্ধিজীবীরা প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। বাঙালি জাতি যেন পুরোপুরি মেধাশূন্য হয়ে যায়, এ জন্য আলবদর ও আলশামসের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী বিজয়ের ঠিক আগে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
সোমবার বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। যবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সূর্যোদয়ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে। দিবসটি উপলক্ষে যবিপ্রবি পরিবারের সদস্যরা কালোব্যাজও ধারণ করেন। অতিমারী কোভিড-১৯ এর কারণে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যবিপ্রবিতে এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ। এ সময় যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।