শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
“যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ” শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে বসন্ত দ্বারপ্রান্তে। মাঘের শেষসপ্তাহে আজ শুক্রবার (২১ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ/৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খৃষ্টীয়) উত্তর-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (লঘুচাপ) দাপটে শেষে আচমকা বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে গেলো যশোর সহ দেশের অনেক জেলাকে।
অপ্রস্তুত শহর ও বাজারের পথচারী ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য অবশ্য এ বৃষ্টি খানিকটা বিড়ম্বনাই ডেকে এনেছে। তবে প্রকৃতির জন্য মাঘের শেষেরএ বৃষ্টি ইতিবাচক।
বিশেষ করে এখানকার গ্রাম-গঞ্জের কৃষককূলের জন্য এ বৃষ্টি বয়ে এনেছে সুসংবাদ। সেচ নির্ভর স্বপ্নের বোরো ফসলের জন্য কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়েই এসেছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২) বেলা ১১টার পর থেকেই শুরু হয় প্রথমে গুড়ি গুড়ি পরে মুসলধারে বৃষ্টি। সকালে রৌদ্রতেজ ১১টার পর বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে বাজার-ঘাট, রেলস্টেশন, হাইওয়ে রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এ সময় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা পড়ে বিপণীবিতান সহ বাজার-ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ চমকের সঙ্গে এ সময় ছিল মেঘের গর্জনও।
ভারী বৃষ্টিতে যশোরের বসুন্দিয়া মোড় এলাকায় আটকা পড়েন পথচারীরা। রাস্তায় কোনো যানবাহন না থাকায় তারা বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না।
প্রকৃতির এ খামখেয়ালিপনাকে অনেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করেন। বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টি না হলেও প্রতি ঋতুতেই কমবেশী বৃষ্টি হচ্ছে।
তবে পথচারীদের একজনের মুখে শোনা গেলো সেই বিখ্যাত খনার বচন, ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ। ’ তার ভাষ্য, এ খনার বচনের সঙ্গে আজকের বৃষ্টির সাদৃশ্য রয়েছে।