কঙ্গো জ্বরের লক্ষণ…
সংক্রামিত ব্যক্তির জ্বরের সঙ্গে ঘাড়ে-মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন পেশিতে ব্যথা হয়। ব্যথা থাকে মেরুদণ্ডেও। এ ছাড়া পাকস্থলীতেও ব্যথা হতে পারে। সেইসঙ্গে গা-বমি ভাব। ডায়েরিয়াও দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ দিয়ে অনর্গল রক্ত বের হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। রক্তক্ষরণ হতে পারে শরীরের অন্যান্য অংশ থেকেও।কী ভাবে সংক্রমণ…
এঁটেল বা টিকস নামে বিশেষ এক পোকার কামড় থেকে পশুর শরীরে ছড়ায়। সংক্রমিত পশুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, মাংস ভালো করে উচ্চ তাপমাত্র রান্না হলে, সংক্রমণের ঝুঁকি কম।সংক্রমণ ঠেকাতে কী করবেন…
গবাদিপশুর সংস্পর্শে আসার আগে শরীর-হাত-পা সম্পুর্ণ রাখে এমন পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গবাদিপশু ঘাঁটলে, ভালো করে পরিষ্কার হতে হবে।কাদের ঝুঁকি বেশি…
পশুপালক, মাংস ব্যবসায়ী ও পশুচিকিত্সক।চিন্তার কারণ এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনও প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়নি
নতুন করে আরও দুজন একই রোগে মারা যাওয়ায় কঙ্গো ফিভার এখন ভারতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকার ১৩৪ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরালজিতে (এনআইভি বা নিভ) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আক্রান্ত এলাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য একটি টিম পাঠানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা। পাশাপাশি এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আক্রান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এঁটেল পোকা (এক ধরনের রক্তশোষক) কামড়, আক্রান্ত মানুষ বা গবাদিপশুর রক্ত ও টিস্যুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগ। এ রোগে মৃত্যুহারও বেশি, ৫ থেকে ৮০ শতাংশ।
এ রোগের লক্ষণ ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে, অনেকটা ডেঙ্গু রোগের মতো। শুরুতে জ্বর আসতে পারে। সঙ্গে মাথা, পেটে ও গলা ব্যথা হতে পারে। একপর্যায়ে অনবরত বমি হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। এমনকি শরীরে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে। দুই থেকে চারদিন পর নিদ্রাহীনতা, যকৃতে প্রদাহ এবং ব্যথা পেটের ডানদিকের উপরের অংশে স্থানান্তরিত হতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিমিয়ায় এ রোগ প্রথম শনাক্ত হয়। পরে ১৯৫৬ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে এ রোগ দেখা দেয়। ক্রিমিয়া ও কঙ্গোর নামানুসারে এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে ‘ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার’ বা ‘কঙ্গো ফিভার’।