বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদী গুলোই এ দেশের প্রাণ। শতাধিক বড় নদী জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। প্রতিটি নদীই বছরের পর বছর ধরে বয়ে চলেছে তার অববাহিকায় গড়ে ওঠা নানান সভ্যতার স্মৃতি নিয়ে। এই নদীগুলোকে নিয়ে রচিত হয়েছে নানা রকম গান, গল্প ও কবিতা।
জলবায়ু পরিবর্তন, নদীর দু’পাশে গড়ে ওঠা নগর ও বন্দর এবং নদীর পানি দূষণসহ নানা কারণে অনেক নদীই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীপথ ও নদীকেন্দ্রীক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই নদীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আচরণ তুলে ধরা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় প্রতিটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৬৪ জেলায় আয়োজন করা হয়েছে ‘১৩শত নদী শুধায় আমাকে’ শীর্ষক নদীকেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশজুড়ে মাসব্যাপী চলছে এই আয়োজন। নাটোর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজারসহ ১৫টি জেলায় এই অনুষ্ঠান অয়োজিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ জানান, এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় বরিশাল জেলা নগরীর ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমির কীর্তনখোলা নদীর তীরে নদী কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কালচারাল অফিসার হাসান রশীদ মাকসুদ। আয়োজনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি অতিথিরা বরিশালের নদীসহ সকল নদী রক্ষায় আমাদের করণীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
গত ৬ নভেম্বর বিকাল ৩টায় মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পাড়ে চাদঁনীঘাট ব্রিজের কাছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে নদীকেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ। সংক্ষিপ্ত আলোচনার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নদীভিত্তিক গান, নৃত্য, কবিতা ও লোকগান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে শিশুরা নদী বিষয়ক ছবি অংকন করে।