শেখ গফ্ফার রহমান, একাত্তর নিউজ ২৪. ডেক্সঃ
আজ বৃহস্পতিবার প্রমত্তা পদ্মার বুকে শেষ স্প্যান বসানোর কাজ শুরু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হচ্ছে টু-এফ নামের ৪১তম শেষ স্প্যানটি।
এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরো সেতু। ৪০তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় শেষ স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। স্প্যানটি গতকাল বিকেলে তিয়ান-ই নামের ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে পিলারের কাছে নেয়া হয়। এখন চলছে পজিশনিং, পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলা ও বেয়ারিংয়ের ওপর রাখার কার্যক্রম।
স্প্যান স্থাপনের কাজ নির্বিঘ্ন করতে, পিলার থেকে নিরাপদ দূরত্বে নৌযান চলাচল নিশ্চিত করছে সেনাবাহিনী। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুরের আগেই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মা সেতু।
৪১ নম্বর স্প্যানটিতে বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা রয়েছে। স্প্যানের গায়ে বাংলা, ইংরেজি, চাইনিজ ভাষায় লেখা বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘বহু বছরের প্রচেষ্টায় দেশি-বিদেশি শ্রম শক্তির মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের পথে’।
শেষ স্প্যান বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপনের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিল সেতু বিভাগ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবেই স্প্যান তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুর অর্থাইয়ন থেকে সরে দাঁড়ায় দাতা সংস্থাগুলো। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ৬ হাজার ৮৫২ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে স্বপ্নের সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুটিতে স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। শুরুতে পদ্মাসেতু তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছিলো ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে সে ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।