শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। সকালে বসুন্দিয়া ইউনিয় পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল এর নেতৃত্বে ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ, পরিষদের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে পরিষদের অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ায় নেতৃবৃন্দ সহ আওয়ামী লীগ, যুব লীগ সহ গন্যমান্য। ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং তাবারক বিতারন করা হয়।
অনুরুপ আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান করা হয় বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসেও এতে নেতৃত্ব দেয় বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হাবিবুল আহসান বাবলু।
বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ অহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দের মধ্য বক্তৃতা করেন মোঃ হাবিবুল আহসান বাবলু, তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়া পত্তন করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কথা ও পোষাকে নয় কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।
সভাপতির বক্তৃতায় মোঃ অহেদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন বাঙালী ছিলেন, বাঙালী জাতির মুক্তির ত্রাতা হিসেবে তিনি বাংলার মাটিতে জন্মেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মুক্তি ছাড়া তাঁর অন্য কোন ভাবনা ছিলোনা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি এবং অবিসংবাদিত জাতীয়তাবাদী নেতা। তাঁর মতো জাতীয়তাবাদী নেতা সমসাময়িক বিশ্বে ছিল বিরল।
আলোচনা শেষে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনা করে কোরআন খতম এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এবং দুস্থদের মাঝে ভূনা খেচুরী তাবারক হিসাবে বিতারন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ আলহাজ আব্দুর সাত্তার, মোতারিম সিঙ্গিয়া হাফেজিয়া মাদ্রসা।