স্টাফ রিপোর্টার, একাত্তর নিউজ ২৪:
যশোরে বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ। দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হলে অনুষ্ঠান বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসলে সমাবেশ স্থল জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন হয়েছে, সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশবাসী সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। কৃষকের সার, বিদ্যুতের জন্য কারো কাছে ধর্ণা দিতে হয় না। বয়োবৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, বিধবা, স্বামী পরিতাক্তা, মুক্তিযোদ্ধাদের কোন চিন্তা নেই। মাস শেষ হলেই নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। সামাজিক বেষ্টনী শক্তিশালী করার জন্য ১৩০ রকমের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলালীগ ও যুবমহিলা লীগের ব্যানারে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে কাজী নাবিল আহমেদ আরো বলেন, যশোরের অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারতলা ভবন হয়েছে। পদ্মাসেতু হওয়ায় প্রান্তিক মানুষের আয় বেড়েছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা সর্বক্ষেত্রে প্রসারতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, বিএনপি-জামাতের আমলে কোন উন্নয়ন ছিল না। দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন তারা করতে পারেনি। তবে তাদের সময় অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন দৃশ্যমান হয়েছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দৃশ্যমান হয়েছে। তাদের দুঃশাসনের কথা মনে হলে এখনো সাধারণ মানুষ শিউরে উঠেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নতুন করে আবারো দুঃশাসন শুরু হবে। তারা পিছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টা করছে। তাদের আমাদের রুখে দিতে হবে।
উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সহ সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, উপ প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবির বিজু, জেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জবেদ আলী, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি লাইজুজ্জামান, যুবমহিলা লীগের জেলা সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেন, হৈবতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌসী ইয়াসমিন, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুর রহমান রিপন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোকছিমুল বারী অপু, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এড.আসাদুজ্জামান বাবুল,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।
বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে যশোরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।