শাহাবুদ্দিন আহমেদ,বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল সীমান্তে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দুই বাংলার নানান আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টায় সীমান্তের শুণ্য রেখায় শত শত ভাষা প্রেমীদের উপস্থিতিতে কাঠ, বাঁশের তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান, দুই দেশের সামাজিক,রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান অতিথী ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য এমপির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষ্যে ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিত দাসের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি। এসময় শুন্য রেখায় শত শত ভাষা প্রেমিদের উপস্থিতি মিলন মেলায় রুপ নেয়।
২০০২ সালে প্রথম বেনাপোলের সরগম সংগীত একাডেমী ও ভারতের ২৪ পরগনার ২১ উদযাপন কমিটির আয়োজনে যৌথ মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু হয় শুন্য রেখায়। আর ২০১২ সাল থেকে সরকারী ভাবে এ দিবসটি পালন করছে উপজেলা আ,লীগ ও বঁনগা পৌরসভা।
কলকাতা থেকে ভাষার টানে সীমান্তে আসা ভাষা প্রেমী অরুন মন্ডল জানান, ২০০২ সাল থেকে ২১ উৎসব আয়োজনে তিনি সীমান্তে আসছেন। তবে ভাষাকে রক্ষা করা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্ম শুদ্ধ বাংলাভাষা উচ্চারন ভুলে যাচ্ছে।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিত দাস জানা, ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে সে ইতিহাস একমাত্র বাঙালীর রয়েছে। এদিনে দুই বাংলা তার কাটার ভেদাভেদ ভুলে এক হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউছুপ আলী জানান, দিন ভর রক্ত দুই দেশের ভাষা প্রেমীরা রক্ত বিনিময় করছেন। এতে দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভালবাসার বন্ধন আরো জোরদার হবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য জানান, যে আন্দোলনের মাধ্যে ছালাম,বরকতেরা জীবন দিয়ে মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছে। সে ইতিহাস পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকবে।
যশোর ১ আসনের সংসদ শেখ আফিল উদ্দীন জানান, ভাষা শহীদদের স্বরনে আজকের এ আয়োজন। দুই বাংলার কয়েক হাজার মানুষ এ দিবসটি পালনে যোগ দিয়েছিল।
বেনাপোল পোর্টথানা ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া জানান, দুই দেশের বিশিষ্টজনদের নিরাপত্তায়
সীমান্তে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার ছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী যশোর ৮৫-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন,বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম , জেলা প্রশাসক তাজিমুল ইসলাম খান , ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির জি-আর্টিলারি পরিচালক
লে. কর্নেল আহম্মেদ হাসান জামিল, জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার , বেনাপোল বন্দর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল,নাভরন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান ও উপজেলা আ,লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: ইব্রাহিম খলিল।
ভারতের পক্ষে বিশেষ অতিথী ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বিধায়ক শ্রীমতি বীনা মন্ডল, পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিৎ দাস,
বঁনগা পৌরসভার প্রধান শ্রী গোপাল শেঠ, বঁনগা লোক সভার প্রাক্তন সংসদ শ্রীমত্যা মমতা ঠাকুর, ২৪ পরগনা জেলা পরিষধের অধ্যক্ষ শ্রী শ্যামল রায়, বঁনগা পৌরসভার উপ পৌরমাতা শ্রীমতি জোৎস্না আঢ্য, গায়ঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রী গোবিন্দ দাস,বঁনগা পঞ্চায়েত সমিতির দলনেতা শ্রী সৌমেন দত্ত ও ছয় ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী প্রসেনজিৎ ঘোষ।
এছাড়াও থাকছেন-পশ্চিম বাংলা ও এপার বাংলার কবি, সাহিত্যিক ও আলোচিত সংগীত শিল্পী।