আত্মকথন:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ যশোর জেলা শাখার সম্মেলন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবলীগ আগ্রহী নেতৃবৃন্দের বায়োডাটা/ সিভি জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় যতদুর জানা যায়, যশোর জেলায় সভাপতি পদে ৮/১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৩/৩৫ জন নেতা বায়োডাটা / সিভি জামা দিয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক এবং একটি গণতান্ত্রিক দলের সৌন্দর্য ও বটে।
আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ী ও আমাকে অনেক তাগাদা দিয়েছেন আমিও যেন একটি বায়োডাটা জমা দিয়ে রাখি।
আমি তাদের এ আবেদনকে শ্রদ্ধা জানায়। মুলতঃ তাদের এই ভালোবাসার উত্তরে ই আমার এই লেখা।
আমি আপনাদের এই ভালোবাসা ও সহোযোগিতাকে ভীষণভাবে শ্রদ্ধা করি। আপনাদেরই এই দোয়া এবং সহযোগিতা ই আমার আগামীদিনের পাথেয়।
তবে এ বিষয়ে আমারও কিছু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী আছে।
আমি মনে করি যশোর জেলা যুবলীগের বিগত ১৮ বছর কোন কমিটি হয় নি, যার কারনে জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে এক বিশাল জট বিরাজমান। আমার অগ্রজ যে সকল নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ সতের – আঠারো বছর যাবত তাদের জীবন – যৌবনের সোনালী সময়টা এই সংগঠনের জন্য ব্যায় করেছেন, এই সংগঠনের জন্য তাদের যে নিবেদন খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে এটার জন্য আমি সত্যিই অনেক গর্বিত ও সমৃদ্ধ। এই সংগঠন কে ঘিরে তাদের যে স্বপ্ন, যে ত্যাগ, তাদের যে অবদান সত্যি ই বর্ণনাতীত। আমি মনে- প্রানে চাই সেই সকল নিবেদিত প্রান, অগ্রজ ভায়েরা যেন তাদের প্রাপ্য সম্মান টুকু ও স্বীকৃতি যেন পায়।
এই কারণেই আমি বায়োডাটা জমা দেয়নি।এবং এও জানি যে, আমার বায়োডাটা জমা দেওয়া বা না দেয়ায় কোন কিছু ডিপেন্ড করবে না। তবুও নিজের মূল্যবোধের জায়গা থেকে এবং ভালোবাসার মানুষদের প্রশ্নের জায়গা থেকে বিষয়টি খোলসা করা।
আর আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে আদর্শ ধারণ করে, লালন করে, মামতাময়ী নেত্রী,গণতন্ত্রের মাণষকন্যা, বিশ্ব মানবতার মা দেশরত্ন শেখ হাসিনা র একজন কর্মী হয়ে আপনাদের সাথে, আপনাদের কাঁধে – কাঁধ মিলিয়ে একসাথে চলতে চায়।
ভরসা করি পরম দয়াময় মহান আল্লাহকে, আর বিশ্বাস করি আমার প্রিয় নেতা, মাননীয় সংসদ সদস্য, জননেতা জনাব কাজী নাবিল আহমেদ ভাইকে।।
দোয়া করি আমার অগ্রজ ভায়েদের জন্য, যেন তারা তাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি টা যেন পায় এই সংগঠনের নিকট হতে।
আল্লাহ মেহেরবান।।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।