একাত্তর ডেস্ক : যশোরের কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তৃষা আফরিন কথা (৮) হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের দাবিতে এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে।
হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সাইফুল নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। আটক সাইফুলের বাড়ি খোলাডাঙ্গা এলাকায়।
এঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। তৃষার পিতা শহরতলীর খোলাডাঙ্গা স্যালভেশন পাড়ার ওমর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করেন।
তৃষাকে ধর্ষনের পর হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে ও সন্দেহভাজন খুনি শামিমকে আটক পূর্বক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ধর্মতলা এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি অবরোধে অংশ নেয় তৃষার সহপাঠি স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সৃষ্টি হয় জানজটের।
অবরোধ চলাকালে কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক কাজল বসু বলেন, আমার স্কুলসহ অন্য কোনও শিশু যেন এমন নিষ্টুর নির্যাতনের শিকার না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন করছি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অন্য কেউ যেন এধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়।
স্থানীয় বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার বলেন, এই শিশু আমাদের সন্তানের মতোই। এই জঘণ্য ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের কঠোর শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে তৃষা হত্যাকান্ডের ঘটনায় পিতা তরিকুল ইসলাম বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় ৪ মার্চ রাতে মামলা করেন। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন ৩ মার্চ রোববার বিকেলে খেলা করতে গিয়ে তৃষা নিখোঁজ হয়। এরপর ৪ মার্চ সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর গর্ত খুঁড়ে তৃষার লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিশা নিখোঁজের পর থেকে হরশিতের বাড়ির ভাড়াটিয়া শামীমের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। সোমবার সকালে সে স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপন করে। তৃষা হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ সাইফুল নামে এক যুবককে আটক করেছে। কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।