শেখ গফ্ফার রহমানঃ
দেশে অর্থনীততে প্রধান বুনিয়াদ কৃষি, দেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি কৃষির উপর নির্ভরশীল।
অথচ কৃষি ও কৃষকরা সবথেকে নিগৃহীত, এই কৃষকরা কাজ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
দেশের মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ১৯ ভাগ আসে কৃষি থেকে এবছর যশোর সহ সমগ্র দেশের কৃষকরা বাম্পার ফলণে ইরি-বোরো ধান উৎপাদন করেছে।
সে ধান পানির দরে লোকসান দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
ধান কি ভাবে সরাসরি কৃষক ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করবে তারও কোন ব্যবস্থা তাদের কাছে আসেনি।
দেশের অহংকার কৃষকগোষ্ঠীর প্রতি এই বৈষম্যমুলক কোন ক্রমেই গ্রহনযোগ্য নয়।
এবার যশোর জেলায় সার, বীজ, কিটনাশক, সেচ, নিড়ানি, পরিবহন, কাটা-বাধা, মাড়াই বাবদ প্রতি মন ধানের দাম আসে ৮৫০ টাকা থেকে ৯২৪ টাকা।
কি ভাবে কৃষকরা বাচবে?
এখনই বাজারে ধানের বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।
সেকারনে অসহায় কৃষকদের সুরক্ষার জন্য জাতীয় কৃষক সমিতি’র পক্ষথেকে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপির মাধ্যমে ৭ দফা দাবী করা হয়।
১, সরকারকে ধানের নির্ধারিত মূল্য সংশোধন করতে হবে, মূল্য নির্ধারণের নীতি মানতে হবে উৎপাদন খরচের উপর চাষির জীবন ধারনের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ সহায়ক মূল্য।
এক্ষেত্রে প্রতি মন ধান ১১০০ টাকায় ক্রয়ের জোর জোর দাবী জানাচ্ছি।
২, চালের বদলে সরকারকে পুরাটাই ধান ক্রয় করতে হবে এবং কৃষককে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে আগাম পুজি দিতে হবে ও প্রতিটা ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে।
৩, মধ্যসত্ব ভোগীদের স্বার্থে নয় সরকারী উদ্যোগে কৃষকদের স্বার্থে বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতো হবে।
প্রতিটি কৃষি পণ্যের লাভজনক মূল্য কৃষু বিভাগ থেকে নির্ধারক করতে হবে।
এর জন্য সরকারী ভাবে স্থায়ী মূল্য কমিশন গঠন করতে হবে।
কৃষকরা যাতে উৎপাদিত কৃষ পণ্যের লাভজনক মূল্য পেতে পারে সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সেন্ডিকেট ও দলীয় ক্যাডারদের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।
৪, ক্রয় ধান বিক্রির সময় বিভিন্ন অজুহাতে কৃষকদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
৫, কৃষিতে যে সকল ভর্তুকি প্রদান করা হয় তা প্রতিটি চাষে সার, বীজ, কিটনাশক, সেচ ও যন্ত্রপাতি বাবদ তা সরাসরি কৃষকেকে দিতে হবে।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে গরিব কৃষকের হ্রাস মূল্যে বিদ্যুত বিল পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে।
৬, সার-কিটনাশক ক্রয়ের পুজি দিতে হবে যাতে নিদিষ্ট দোকানে কৃষক কম মূল্যে সার-কিটনাশক কিনতে পারেন।
সেচের ক্ষেত্রেও অনুরুপ সুযোগ দিতে হবে।
৭, ক্ষেতমুজুর, দিনমুজুর,গরিব কৃষকদের রেসনিং এর মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮, কৃষকদের জন্য শস্য বীমা চালু করতে হবে।
স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কৃষক সমিতি’র যশোর জেলা সভাপতি এড, আবু বকর সিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান,
কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন হবি, আব্দুল মাজেদ, শেখ গফ্ফার রহমান, আব্দুল ওয়াদুদ গাজী, সাহাবুদ্দিন বাটুল, অধ্যাপক চৈতান্য পাল, মোঃ নাজমুল হুদা সহ নেতৃবৃন্দ।