করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর ভাড়া বাড়ির যুবকের জর-কাশি
সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন, খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন কাউন্সিলর
মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর :
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মী করোন আক্রান্ত হওয়ার পর তার ভাড়া বাড়িসহ সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে ও সোমবার বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়। লকডাউন হওয়া সাত স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত সেই স্বাস্থ্যকর্মীর সহকর্মী।
গত দুইদিন ধরে বাড়িগুলো লকডাউনে থাকলেও এই পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পাননি তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় কামালপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুল আক্তার নিজ উদ্যোগে বাড়িগুলোতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ঝুঁকি নিয়ে তাকে বাড়িগুলোতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ছুটতে দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউনে থাকা দুই বাড়িতে একজন নারী ও একজন পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সাত সহকর্মী সাধনা রানী, রেজাউল ইসলাম, শহিদুল্লাহ, ইসহাক আলী, রিপন হোসেন, তপনকুমার ও আলমগীর হোসেনের বাড়ি সোমবারে লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত ওই স্বাস্থকর্মী যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়িটি রোববার রাতে লকডাউন করা হয়েছে। প্রশাসনের লকডাউন করা বাড়িতে পাঁচটি পরিবারের ২৪ জন সদস্য রয়েছেন। এই পর্যন্ত কেউ তাদের কোন খোঁজ নেননি। আমি নিজে বাড়িগুলোতে খাবার বা পানীয় পৌঁছে দিচ্ছি।
কাউন্সিলর বাবুল আরো বলেন, লকডাউনে থাকা ওই বাড়িওয়ালার ছেলে সোমবার থেকে জর, কাশি ও গলা ব্যাথায় ভুগছেন। তার সমস্থ মুখ ফুলে গেছে। নিশ^াস টানতে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী সাধনাও অসুস্থ। হাসপাতালে খবর দিয়েছি। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। তিনি বলার পরে একজন ডাক্তার ওই যুবকের খোঁজ নিয়েছেন কিন্তু সাধনা রানীর খবর নেননি। কখন কি হয় বলা যাচ্ছে না। আমি আতঙ্কে আছি।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মুসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত বলেন, আমি ওই যুবকের সাথে ফোনে কথা বলেছি। তিনি জর, কাশি ও হালকা গলাব্যাথায় ভুগছেন। তার শ^াসকষ্ট নেই। তাকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের যারা নমুনা সংগ্রহ করেন তারা দুইজন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বুধবার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্ট এসে তার নমুনা সংগ্রহ করবেন। তবে সাধনা রানীর বিষয়টি তিনি কিছু বলেননি।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তাদের খবর রাখছেন। আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
গত রোববার মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ধরা পড়ে। কেশবপুরের ইমাননগরে শ^শুর বাড়িতে তার চিকিৎসা চলছে। এরআগে তিনি হাসপাতালের পাশের ভাড়া বাসায় ছিলেন।
করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর ভাড়া বাড়ির যুবকের জর-কাশি সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন 71news24
http://www.71news24.com/2019/03/18/1128
Please follow and like us: