কাশ্মীরের পরিস্থিতি ও সেখানকার মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতাদের সেখানে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে সোজা দিল্লির পথ ধরতে হয় তাদের।
শনিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কাশ্মীর সফরে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝা এবং তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী-সহ মোট ১২ জন।
তাদের পরিকল্পনা ছিল, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা করা। তবে তাতে সফল হননি তারা।
কাশ্মীর সফর শুরুর আগে আগে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সেখানে নিজের ক্ষোভে ভরা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও নেতা। আমরা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে যাচ্ছি না। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক। ২০ দিন ধরেই উপত্যকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ২০ দিন ধরে সেখান থেকে কোনও খবর মিলছে না। অথচ সরকার বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তা-ই যদি হয়, তবে আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এ ধরনের দ্বিচারিতা কখনও দেখিনি… পরিস্থিতি যদি এতই স্বাভাবিক হত, তবে আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন?’’
বিরোধী নেতারা যে এই সময় কাশ্মীর যেতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ অধিদপ্তর। শুক্রবার ওই দপ্তর থেকে এক টুইট এর মাধ্যমে জানানো হয়, ‘বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে উপত্যকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর পথে বাধার সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, এ সময় শ্রীনগরে আসবেন না মানুষজন অসুবিধায় পড়তে পারেন। বিশেষত এমন এক সময় যখন সরকার ধীরে ধীরে দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিষ্ক্রিয় করে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের আশঙ্কা, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’