একাত্তর নিউজ ডেস্ক : ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আসর ‘সা রে গা মা পা’র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল।
শনিবার (২৯ জুন) এই আসরের গ্র্যান্ড ফাইনালের পর্ব ধারণ করা হয়। ধারণকৃত এই পর্বটি প্রচারের আগেই জানা গেছে, এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে তৃতীয় আর দর্শকের রায়ে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই গায়ক।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে কথা হয়েছে ।
তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। বলতে পারছি না, প্রথম না তৃতীয় হয়েছি! ২৮ জুলাই ফাইনাল পর্বটি প্রচারের পরই সবাই তা জানতে পারবেন।
কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে তো এরইমধ্যে প্রচার হয়েছে ফাইনাল পর্বের ফলাফল। অথচ আপনি বলতে পারছেন না, কারণ কি?
এর উত্তরে নোবেল বলেন, কে-কোথায় থেকে এই খরব পেয়েছে, আমি জানি না। তাছাড়া ফাইনাল পর্বটি প্রচারের আগেই আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। বলা ঠিকও হবে না। ফলাফল যাই হোক, আজীবন গানের সঙ্গেই থাকবো। আপনার পাশে থাকবেন- এটাই প্রত্যাশা।শনিবার (২৯ জুন) কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে চূড়ান্ত পর্বের দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের পুরস্কার পর্বের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। আর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা। আর যৌথভাবে ১ম রানারআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ। ২য় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও মাঈনুল আহসান নোবেল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। এতে ভারতের নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। এই আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল ইসলাম নোবেল। বিভিন্ন ধাপে অন্যান্যরা এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়লেও টিকে ছিলেন নোবেল।
এই আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, মোনালি ঠাকুর, শান্তুনু মৈত্র, কৌষিকী চক্রবর্তী ও পণ্ডিত তন্ময় বোস।