পদ্মা সেতুর ২১০০ মিটার দৃশ্যমান

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর নিউজ ডেস্ক : 

অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে পদ্মা সেতুর ১৪তম স্প্যান বসানোর কাজ। পিলারের সামনে জমে থাকা পলি অপসারণ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শনিবার বিকেল ৪টা ১০মিনিটে ১৪তম ‘৩-সি’ নম্বর স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৫-১৬ পিলারের উপর স্থাপন করা হয়। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ২কিলো ১শ মিটার।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সকাল ১১টায় সেতুর অদূরে নদীতে নোঙ্গর করে রাখা স্প্যান বাহী ক্রেনটি পিলারে কাছে রওনা হয়। বেলা ১২টায় ক্রেনটি ১৫-১৬নং পিলারে সমানে পৌছে। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। এরপর বেলা ২টায় অ্যাংকারিং সম্পূর্ন হলে পিলারের উপর স্প্যান উঠানোর কাজ শুরু করা হয়। প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট নির্মান শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পিলাররে উপর বেলা ৪টা ১০মিনিটে স্প্যানটি বসানো সম্পূর্ন হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বৃহস্পতিবার এবং পরে শুক্রবার স্প্যানটি বসানোর কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়া ও ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমে থাকার কারণে নির্ধারিত দিনে স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিকে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইর্য়াড থেকে রওয়ানা দিয়ে ১৫ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করে রাখা হয়। পরে শুক্রবার আবারো পলি জমাট সমস্যায় স্থগিত করা হয় স্প্যান বসানোর কাজ। শুক্রবার পলির স্থান চিহ্নিত করে সার্ভে শেষে ড্রেজিং শুরু করে শনিবার সকালে ড্রেজিং শেষ হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটি সম্পন্ন হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এপর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
Please follow and like us: