মোঃ মেহেদী হাসান: যশোরের মণিরামপুরে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা না করায় রমজান আলী নামে এক গ্রাম পুলিশকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে মেয়ে পক্ষ। তারা তাকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
হামলার ভয়ে স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। বিষয়টি পুলিশ,ইউপি সচিব ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন রমজান আলী।
রমজান আলী জানান, বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার সরণপুর গ্রামের ওলিয়ার রহমানের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে রায়হান (১৭) একই গ্রামের দুইবার তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর সাথে একঘরে ধরা পড়ে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে রায়হানের সাথে ওই নারীকে বিয়ে পড়িয়ে দিতে রমজানের সহযোগিতা চান মেয়ে পক্ষ।
ছেলের বয়স না হওয়ায় রমজান তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। বৃহস্পতিবার দিনভর মেয়েপক্ষ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বিয়ে পড়াতে ব্যর্থ হন। পরে মেয়েপক্ষের লোকজন ওইদিন রাত ১১ টার দিকে রমজানের বাড়িতে এসে তাকে হুমকিধামকি দেন।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার পূর্বে মেয়ের পক্ষ নিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের আওয়াল নামে এক যুবক ১০-১২ টি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে আবার রমজানের বাড়িতে হামলা করে।
এসময় দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পান রমজান ও তার স্ত্রী সন্তানরা। রাস্তায় বের হলে আওয়াল ও তার দলবল রমজানকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রমজান অভিযোগ করে বলেন, দুর্বৃত্তদের হুমকির ভয়ে আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা।
এমনকি বাড়িতেও নির্ভয়ে থাকতে পারছি না। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মণিরামপুর থানায়, খেদাপাড়া ক্যাম্পের আইসি সালাউদ্দিন,ইউপি সচিব ও স্থানীয় মেম্বরকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছি।
এখনও পুলিশ আসেনি। তবে গ্রাম পুলিশ রমজানের অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ালের বক্তব্য জানা যায়নি। এই বিষয়ে জানতে ঝিকরগাছার পায়রাডাঙ্গা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সরণপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, রমজান আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। তাকে পুলিশে কল করতে বলেছি। রোহিতার ইউপি সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জী বলেন, বিষয়টি শোনার পর ইউএনও স্যারকে জানানোর চেষ্টা করছি। স্যার ফোন ধরছেন না। খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি রমজান আমাকে জানিয়েছে। কিছুক্ষণ পরে আমি ঘটনাস্থলে যাব।