গত ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেকায়দায় ছিলো বিএনপি। তবে এর সত্যতা মিলছে না যশোর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের হলফনামায়।
২০০৮ সালে আইয়ুব দম্পতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিলো কোটি টাকার মতো। ব্যবসায়ী সেই আইয়ুব ও তার স্ত্রী এখন দুই কোটি টাকার মালিক। একই সময় তিনি পরিশোধ করেছেন সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ। অর্থাৎ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয় করেছেন সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।
২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে।
টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বার্ধীন মহাজোট সরকার। এই সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘হয়রানিমূলক মামলা’ দিয়ে আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত করা হয়েছে বলে দলটির অভিযোগ। এই বক্তব্য বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। গতকালও যশোর প্রেসক্লাবে নগর বিএনপি আয়োজিত এক কর্মীসভায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু এই অভিযোগ করেন। কিন্তু বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের হলফনামা বলছে ভিন্ন কথা।
আইয়ুবের দাখিলকৃত দুই হলফনামা বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে সাড়ে তিন গুণেরও বেশি। ২০০৮ সালে তার আয় ছিলো বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৫০ টাকায়।
২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর-অস্থাবর মিলে টিএস আইয়ুবের সম্পত্তি ছিলো ৮৬ লাখ ১৮৫ টাকার। যার মধ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসায়ের মূলধন ছিলো ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৯ টাকার। এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার মোটর গাড়ি, ছয় লাখ টাকার শেয়ার, ৯৯ হাজার ৬৮৬ টাকা নগদ এবং ৪৮ হাজার টাকা দামের ১২ ভরি স্বর্ণ উল্লেখযোগ্য।