একাত্তর নিউজ ডেস্কঃ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খালেদা জিয়া কলঙ্কিত ও ভূলুণ্ঠিত করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন বহুবার। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঠিকই, তবে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি।
শুক্রবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা যাওয়ার প্রাক্কালে আখাউড়া স্থলবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগরতলায় যাচ্ছেন মন্ত্রী।
আ ক ম মোজাম্মেল হক দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা, সহকারী কমিশনার ভূমি এ কে এম শরিফুল হক, আখাউড়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান চিরস্মরণীয়। একাত্তর সালে আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয়, খাবার, চিকিৎসা সহায়তাসহ যে সহমর্তিতা দেখিয়েছে ত্রিপুরার মানুষ ও ত্রিপুরার তৎকালীন রাজ্য সরকার তা অবিস্মরণীয়। তাই মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ও সহায়তাকারী ত্রিপুরার জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে যাচ্ছি।
পরে মন্ত্রী আগরতলা জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লির ডেপুটি হাইকমিশনার রকিবুল হক, আগরতলা উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার কিরিট চাকমা, ১২০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রত্মেশ্বর, আগরতলা বন্দর ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী, ত্রিপুরা তথ্য ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে বুধবার মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ৩৫ জন ত্রিপুরায় যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরায় প্রশিক্ষণ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা আছেন এই দলে। তারা ত্রিপুরার যেসব স্থানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সেসব স্থান ঘুরে দেখবেন।