নিজস্ব প্রতিবেদক ঃযশোরের বসুন্দিয়ায় মোবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক কারবারি অভিযোগ উঠেছে। সে সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের মৃত আকবর মোল্লার ছেলে। মাদক ব্যাবসায়ী মোবারক হোসেনের শ্যালক লিটন ১৫পিচ ইয়াবা সহ গত ২৪/০৮/২১ তারিখ তার একজন সহযোগী অনিক বসুন্দিয়া পুলিশের হাতে আটক হয়।
তার জের হিসেবে ২৫আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় লিটনের মুক্তির জন্য তার ভাতিজা নওশের নিকট মোবারেকের ২০০০/ টাকা পাওনা চাইতে গেলে বাগবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে একপর্যায়ে মোবারেকের স্ত্রী, শ্যালক বড় ভাই আলি আহমেদকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে পরে উভয় পক্ষের মোবারক সহ ২জন আহত হয়। আলী আহমেদ ও মোবারক হোসেন উভয় যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে দুই জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্ত মোবারক হোসেনের তিন স্ত্রী( ১)মান্দারী বেগম, যিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়ার রেলস্টেশন বস্তিতে বসবাস করে। (২) মিনি খাতুন (৩) রাশিদা বেগম। অভিযোগ রয়েছে, এক পক্ষের – শাশুড়ি মোমেনা বেগমকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারি করে আসছে মোবারক হোসেন। মোবারকের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তার ভাই আলি আহমেদ( ৫৫) কে গত ২৫/০২/২১ তারিখে শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে, যার সূত্র ধরে গত ২৭ মার্চে ঐ গ্রামের আঃ আজিজের চায়ের দোকানে আহত আলী আহমেদের ছেলে নওশের আলীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোবারক হোসেন নওশের আলীকে মারপিট করে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে মাদক কারবারি অভিযোগে মোবারক হোসেন কে পুলিশ দুই বার আটক করে। কথিত আছে এলাকার রাজনৈতিক কিছু নেতার ছত্রছায়ায় এই কারবার করে থাকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমানে সে বিভিন্ন কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । মাদক ব্যাবসায়ী মোবারক হোসেনের ৩স্ত্রী, পুত্র,শ্যালক ও শাশুড়ী দিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে ফলে সহজে হাতের কাছে মাদক পেয়ে নেশায় জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উটতি বয়সী যুবক ও তরুণ প্রজন্ম। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার মানুষ।