রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলছেন দাবি পূরণ না হলে তারা কখনোই মিয়ানমারে ফিরবেন না

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

শেখ গফ্ফার রহমান, তথ্য ডেস্ক থেকেঃ

২৫শে অগাস্টকে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে কক্সবাজারে সমাবেশ আয়োজন করেছিল রোহিঙ্গারা।
২৫শে অগাস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ২ বছর পূর্তির দিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা রবিবার কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে সমাবেশ করেছে।
গত বছর থেকে এই দিনটিকে তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দুই বছর আগের এই দিনটিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে একদিনেই প্রায় লাখখানেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।
এই সমাবেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে যারা নিহত ও নির্যাতিত হয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
সেখান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা আকবর হোসেন জানাচ্ছেন, এই সমাবেশে কুড়ি হাজারের মত জনসমাগম ঘটেছিল।
সমাবেশে আয়োজিত প্রায় বিশ হাজারের বেশি মানুষের জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়
সমাবেশে আয়োজিত প্রায় বিশ হাজারের বেশি মানুষের জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিশেষ মোনাজাত  সমাবেশ 

রোহিঙ্গারা যেন নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে সেই বিষয়টির ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই কুতুপালং ক্যাম্পের এক্সটেনশন ফোর ক্যাম্পে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে জড় হতে থাকে।
রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশকে ঘিরে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছিল।
সমাবেশে অংশগ্রনকারী রোহিঙ্গাদের একজন, মোহাম্মদ সেলিম, বিবিসি বাংলাকে বলেন যে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই এই দিনে সমাবেশ করে থাকেন তারা।
সমাবেশে অনেক রোহিঙ্গাই একটি টি-শার্ট পরে এসেছেন, যেখানে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবি পূরণ হলেই কেবল তারা মিয়ানমার ফেরত যাবে বলে জানায়
রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবি পূরণ হলেই কেবল তারা মিয়ানমার ফেরত যাবে বলে জানায়
মিয়ানমারের নাগরিকত্বের বিষয়ে যেন রোহিঙ্গাদের সাথে আলোচনা করে মিয়ানমার সরকার এই দাবি তোলা হয় সমাবেশে।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী আরেকজন ইয়াসির আরাফাত বিবিসি বাংলাকে বলেছেন যে তারা নিজেদের নাগরিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার যেসব দাবি তুলেছে সেগুলো পূরণ হলেই কেবল তারা মিয়ানমার ফেরত যাবে।
অন্যথায় তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই।
দোভাষীর সাহায্য ইয়াসির আরাফাত বিবিসিকে বলেন, “দরকার হলে এদেশে আজীবন থাকবো”
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানানো হয় আয়োজিত মোনাজাতে।

Please follow and like us: