একাত্তর নিউজ, যশোর অফিস :
গতকাল ০১ অক্টোবর দৈনিক সমকালে প্রকাশিত ” যশোরে ফের আলোচনায় শাহিন চাকলাদার” শিরোনামের সংবাদ প্রকাশে আগামী ১১ নভেম্বর যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের আগে দলীয় মনোভাব নষ্ট করার প্রচেষ্টায় সমকালের সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন যতগুলি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করেছেন সবায়ই ঐ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি এবং মানহানীর মামলা করবেন।
আজ বুধবার (০২/১০/২০১৯) দুপুর ১২.৩০ মিনিটে যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য সমকালের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। এসময় যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে বলেন, সমকালের প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত আমার হঠাৎ রাজনীতীতে আসার তথ্যটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গত জেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে আমি তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এসময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতি আমার আদর্শ আর ব্যবসা আমার পেশা। রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই আমার ব্যবসা ছিলো। আমার সকল অর্থবৃত্ত এবং সম্পত্তি আমার পরিশ্রমে অর্জিত। আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ।
যশোর জেলা আওয়ামীলীগ পরিবার আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে শাহিন চাকলাদার জানান আগামী সদর উপজেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে তার তৃণমূলের বিস্বস্থ সহযোদ্ধা তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন ভাবে মানহানী করেছে ঐ সাংবাদিক। মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত পূর্বের খবরকে সামান্য ঘুরিয়ে পেচিয়ে উপস্থাপন করে যশোর জেলা আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত করেছে ঐ সাংবাদিক। এসময় সমকালে প্রকাশিত সংবাদে তিনজন প্রয়াত নেতার নাম উল্লেখ করার বিষয়টি উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের গঠনমূলক উত্তর দেন তিনি।
আপনি ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন মামলা করবেন কিনা? এমন প্রশ্নে শাহিন চাকলাদার জানান শুধু আমি নই সমকালে নাম এসেছে এমন নেতা কর্মী তারা সকলেই ফৌজদারি ও মানহানির মামলা করবেন। একমাত্র দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছাড়া এ মামলা তারা তুলবেন না।
এসময় সাংবাদিকরেদ উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যশোর জেলাধীন সকল সাংবাদিক এবং যশোর জেলা আওয়ামীলীগ একই পরিবারের। সমকালের জেলা প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও ঢাকার সাংবাদিকের এমন ভিত্তিহীন লেখালিখির পেছনে মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আংশকা করেন তিনি।
যশোর -৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদ এসবের মধ্যে জড়িত আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কে জড়িত আছে সেটা তিনি জানেন না। তবে একটি বড় কুচক্রি মহল হলুদ সাংবাদিকদের ধরে এসব করাচ্ছেন।
যশোরের সাংবাদিকরা ভিতু নয় এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা যাচাই বাছাই করে সবকিছু খতিয়ে দেখবেন এবং সত্যটা তুলে ধরবেন। আমার জেলাতে কোন দুর্ণীতি তুলে ধরতে আপনারা শক্তিশালী ভূমিকা রাখবেন।
সংবাদ সম্লেলনের একপর্যায়ে এ কে এম খয়রাত হোসেন এস এম আবজাল হোসেন নিজেদের ওপর লেখা সকল তথ্য ভিত্তিহীন বলে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন।