মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রেলওয়ের রাস্তার ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এছাড়া কুলাউড়ার ওই দুর্ঘটনার তদন্ত করে তা রেলওয়ের মহাপরিচালককে আগামী ২৪ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। রুলে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেললাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না।
একইসঙ্গে কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব জোন), বিভাগীয় প্রধান (পূর্বজোন) এবং একই জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে আগমী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিয়ে বলেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত গত ২৩ জুন রাতে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে বড়ছড়া ব্রিজের ওপর দুর্ঘটনায় পড়ে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের একটি ট্রেন। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হন।
এ দুর্ঘটনার পর চরম ব্যথিত হয়ে গত ২৯ জুন জনস্বার্থে রিটটি করেন মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।