ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আমাদের কাছেই আছে। তাকে আটকের ফুটেজ গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ মাদক, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্রাটকে ধরতে অভিযান পরিচালনকারী র্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তারা বলেন, ক্যাসিনো সম্রাটের গডফাদার কারা সেটিও তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সম্রাটের কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান শেষে সন্ধ্যার দিকে র্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘আমরা সম্রাটকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাইব। সম্রাট যে ক্যাসিনোর সম্রাট হয়ে উঠেছেন, তার পেছনের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষক কারা, তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি অস্ত্র ও গুলি, বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করা হয়।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, আরমান ও সম্রাটকে যখন কুমিল্লা থেকে আটক করা হয় তখনও মাদক উদ্ধার করা হয়। আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল। এজন্য র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ছয় মাসের জেল দেন। ঢাকায় আনার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে সম্রাটের নাম বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসে। ক্যাসিনোর পেছনে তার হাত রয়েছে। এরপর আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ তাকে আটক করতে সক্ষম হই।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হচ্ছে। মাদক, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার অভিযোগে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হবে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সম্রাটের কার্যালয় থেকে ইলেকট্রিক শকিং মেশিন উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে কাউকে নির্যাতন করা হতো কি-না, এটা আমরা পরবর্তীতে তদন্ত করে দেখব।
‘বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছিল সম্রাট এখনও ঢাকায় নেই’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, সম্রাট আমাদের কাছে আছে। একটু পরে আপনাদের ফুটেজ দেয়া হবে।