একাত্তর ডেস্ক :
আর মাত্র দুইদিন পরই তৃতীয় ধাপের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন। শেষ মূহর্তে প্রার্থীরা প্রচারনায় মহাব্যস্ত। শেষ মূহর্তে মাঠ জরিপে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট সামসুল আলম সর্বাধিক এগিয়ে রয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্মীসমর্থকরা ভোটারদের সাথে মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, ফেসবুক, টুইটে জমজমাট প্রচারণা ,গণসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অব্যহত রাখছেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. সামসুল আলম প্রধান তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে স্বতন্ত্র হিসেবে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়েছেন। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যকরি কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাড. সামসুল আলম প্রধান দীর্ঘ ৩০ বছর সময় ধরে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ১৯৭৭ সালে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৮ সালে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রললীগের সভাপতি, ১৯৮৪ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ১৯৮৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পযর্ন্ত দীর্ঘ ৩০ টি বছর ধরে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সামসুল আলম তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। আগামী ২৪ শে মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল আলম প্রধান। সামসুল আলম প্রধান স্কুল জীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিক হিসেবে তৃণমূলে রাজনীতি করে আসছেন। ১৯৭১ সালে ৭মার্চ, ১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারী, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদসহ সকল আন্দোলনে শ্রীপুরের সাধারণ মানুষ সামসুল আলমের নেতৃতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার শতভাগ আশাবাদী। সামসুল আলম নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাশ ও মাদকমুক্ত এবং শ্রীপুরকে আধুনিক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। পৌঁছে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নয়নের বার্তা। সামসুল আলম বলেন, শ্রীপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ৪৫ বছর চলছে আমার রাজনৈতিক জীবন, তার মধ্যে ৩০ বছর ধরে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমি সারা জীবন দলের জন্য কাজ করে গেছি। শ্রীপুরের মানুষ চাই একজন সৎ ত্যাগী নেতা ও যোগ্য প্রার্থী। ত্যাগী নেতা হিসেবে আমি ব্যাপক সারা পাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদি। আমি প্রতিনিয়ত জনগণের কাছে যাচ্ছি এবং বিগত ৩০ বছর ধরে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি, এ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবণে আমি শ্রীপুরের আওয়ামীলীগকে সু-সংঘটিত রাখতে শ্রীপুরবাসী আমাকে শতভাগ সহযোগিতা করেছে। সে দিক বিবেচনায় জনগনের কাছ থেকে শতভাগ সারা পাচ্ছি। আমার রাজনৈতিক জীবন বিবেচনা করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ত্যাগী নেতা হিসেবে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর মনস্থ করেছে। আমি শ্রীপুরে ভোগের রাজনীতি নয়, ত্যাগের রাজনীতি করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বত্রই এখন ভোটের হিসাব নিকাশ চলছে, কে হবেন উপজেলার উন্নয়নমুখি, সুখে-দুঃখে সবসময় জনগণের পাশে যাকে পাবেন জনগণ তাকেই মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান। শ্রীপুরে সর্বত্রই ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্যনীয়। শ্রীপুর উপজেলা একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের সর্বত্রই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। সামনে নির্বাচন, শ্রীপুরের ভোটাররা স্বপ্ন দেখছেন ,উপজেলার অবহেলিত উন্নয়ন এগিয়ে নিতে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের সঠিক সময় এসেছে । যাকে দিয়ে হবে অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন তাকেই ভোটের মাধ্যমে বেঁচে নিতে চান ভোটাররা ।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাড. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এড.সামসুল আলম প্রধান সহজ, সরল ও ত্যাগী একজন রাজনৈতিক একজন ব্যক্তি। শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। জনগণের নিকট থেকে ব্যাপক সারা পাওয়া যাচ্ছে ,কারন তিনি দীর্ঘ দিন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে পরিচালিত করে আসছেন। আলম ভাই একজন সৎ নামাজি মানুষ। আগামী ২৪ তারিখ মোটর সাইকেল প্রতিকে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করবে।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন সরকার ঢাকা প্রতিদিনকে বলেন, সামসুল আলম ছাত্র রাজনিতি থেকে শুরু করে থানা , জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনিতি করছেন আসছেন। তিনি একজন সৎ,আদর্শবান ত্যাগী নেতা। ৩০ বছর ধরে শ্রীপুর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি একজন সুস্থ্য রাজনৈতিক মনের মানুষ। একটি রাজনৈতিক দল একাধারে তিন বার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় তিনি আ,লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । অথচ পটকা তার গ্রামের বাড়ীতে ভাল একটা থাকার ঘর নেই ।গাজীপুরে অন্যত্র ভাড়া বাড়িতে থাকেন । তিনি সৎ একজন মানুষ, কোন মানুষ তার কোন ত্রু টি আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারবে না । সৎ ও সুস্থ্যরানৈতিক মনের মানুষ হিসেবে আমি উনাকে ভালবাসি । উপজেলা নির্বাচনে একজন ভাল মানুষকে ভোট দিলে গাজীপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ যে স্বপ্ন ছিল শ্রীপুরকে আধূনিক মানবিক শ্রীপুর গড়ার, আলম ভাই নির্বাচিত হলে সেই কাজটি ত্বরান্বিত করতে সহজ হবে। শ্রীপুর বাসির প্রতি আমার আহব্বান আধুনিক মানবিক উপশহর গড়তে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিন ।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল বলেন, আলম ভাই একজন স্পষ্টভাষি মানুষ। জনপ্রিয়তায় তার অবস্থান সবার শীর্ষে। আমরা আশা করছি মোট কাস্টিং ভোটের শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট মোটরসাইকেল পাবে।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন ,চারদিকে চলছে নির্বাচনের গণজোয়ার। জনমতের ভিত্তিতে অ্যাড. সামসুল আলম প্রধান বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আধুনিক মডেল উপজেলা গড়ে তুলবে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, আলম ভাই শ্রীপুরে অন্যতম একজন ত্যাগী নেতা । দীর্ঘ ত্রিশটি বছর ধরে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বিনিময়ে তিনি কিছুই পান নী । আমরা আশা করছি বিপুল ভোটের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে জনপ্রতিনিধির শীর্ষে পৌছে শ্রীপুর কে আধুনিক উপশহর হিসেবে গড়ে তুলবেন ।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও টেপিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বাবুর আলী মাস্টার বলেন ,আলম ভাই ছোট সময় থেকে আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমরা তার মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ খুঁজে পেয়েছি। উপজেলা নির্বাচনী গণসংযোগে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সারা পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি ২৪ তারিখ মোটরসাইকেল প্রতিক বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হবে।