মোংলা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাবে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে, পাশাপশি গুড়ী গুড়ী বৃষ্টিও হচ্ছে। ঘুর্নিঝড় বা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরে, উপজেলা প্রসাাশন, পৌরসভায় কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশ মেঘাছন্ন্য রয়েছে তবে বাতাসের গতিবেগ তেমন না বাড়লেও সাগর রয়েছে উত্তল। সাগরপাড়ে রাশমেলা উপলক্ষে পশুর নদীদিয়ে দর্শনাথীদের না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়াও মোংলা বন্দর ও বন্দরে অবস্থানরত সকল বানিজ্যিক জাহাজ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। পশুর নদীতে সকর মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমুহকে নিরাপদে সরে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ।
জানা গেছে, ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এর প্রভাবে সাগরে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশ এলাকা খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এজন্য শুক্রবার সকাল থেকে বন্দরসহ উপকুলীয় এলাকায় চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬শ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছে। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে উত্তর-উত্তর- পশ্চিম দেিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামীকাল শনিবার দুপুরে এ বন্দরে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরে খোলা হয়েছে তিনটি কন্ট্রোলরুম। বন্দরে এই মুহূর্তে মেশিনারি, ক্লিংকার, সার, জিপসাম, পাথর, সিরামিক ও কয়লাসহ দেশি বিদেশি মোট ১৪ টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এসব জাহাজে পন্য খালাসে সতর্কতা জারি করা হবে বলেও জানান বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন। ‘বুলবুল’র প্রভাবে কন্ট্রোল রুম খুলেছে মোংলা পোর্ট পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনেও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি’র (সিপিপি) ৬৬টি ইউনিটের ৯শ ৯০জন সেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকা ৪টায় উপজেরায় জরুরী সভা করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। পুর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির জানান, আগত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব মোকাবেলায় সকল বনরক্ষীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রেঞ্জ অফিস থেকে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। সাগরপাড়ের আলোরকোল ও দুবলার চরে অবস্থান নেয়া সকল জেলেদের পরবতর্ী নিদের্শনা না পাওয়া পর্যন্ত সগরের গহিনে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের নদী ও খালে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমুহকে নিরাপদ আশ্রায় যেতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।