একাত্তর নিউজ ডেস্ক : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘বিতর্কিত’ ওই কমিটি ভেঙে না দিলে বিক্ষোভ, অনশনসহ আমরা গণপদত্যাগ করবো।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপু তন্বী।সেখানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু বলেন, “বিগত দিনগুলোতে যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের একটি বৃহৎ অংশকে বাদ কিংবা সঠিক মূল্যায়ন না করে ছাত্রলীগে নিস্ক্রিয়, সাবেক চাকরিজীবী, বিবাহিত, অছাত্র, গঠনতন্ত্রের অধিক বয়স্ক, বিভিন্ন মামলার আসামি, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পদায়ন করা হয়েছে।
রোকেয়া হলের সভাপতি লিপি আক্তার বলেন, তদন্ত কমিটি মানি না। যারা হামলা করেছে তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শোভন-রাব্বানীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আবার তারা হামলাকারীদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে সঠিক তথ্য যায় তাহলে তিনি বিতর্কিত এ কমিটি ভেঙে দেবেন।
সম্মেলনের এক বছর পর সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্ধশত নেতাকর্মী; যাদের কেউ পদ পাননি, কেউবা কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর পরপরই সেখানে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেওয়া পদ পাওয়া শতাধিক নেতা।
এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ছাত্রলীগ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সোমবার ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন সাহাদাত এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পল্লব কুমার বর্মন। তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।