মঙ্গলবার বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিএনপির মহাসচিব ও প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে হাজারো দমন পীড়নে নেতাকর্মীরা রাজপথে ছিল। কেন্দ্র নেতাদের নির্দেশে তারা সু সংঘটিত ছিল। ৫ই আগস্টের পর নেতা কর্মীরা আরো উজ্জীবিত হয়েছে। তাই এই উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকতে চাই। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের ছেলেরা আপনাকে প্রধান প্রচেষ্টা করেছেন। আপনি দ্রুত নির্বাচন দিন। যদি দল করার মতলব থাকে। তাহলে নিজেকে অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধান থেকে প্রত্যাহার করে দল গঠন করুন। যত দ্রুত নির্বাচন দিবেন, তত দ্রুতই দেশে শৃঙ্খলা ফিরবে। তা না হলে আপনি আগামী দিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, কোনভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করা যাবে না।
এর আগে দুপুরে তিনি যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ দলীয় নেতা কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
সমাবেশ খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই যশোরের বিএনপি সুসংগঠিত। অন্তবর্তী কালীন সরকার নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে যশোর থেকেই নির্বাচনের দাবিতে জনগণ মাঠে নামবে। তাই অতি দ্রুত তিনি নির্বাচনের দাবি করেন।
এর আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও যশোর চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেন, স্বৈরাচার সরকার হঠাতে শুধুমাত্র ছাত্ররা কাজ করেনি। রাজপথে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিল। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করুন। তা না হলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। আর তার দায়ভার নিতে হবে অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কেই।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মফিদুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ৫ ই আগস্ট থেকে ৮ ই আগস্ট পর্যন্ত দেশে কোন সরকার ছিল না। তখন বিএনপির চেয়ারপারসন ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নোবেল জয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধান করা হয়। এখন তারা নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে। যদি স্বৈরাচার সরকারের মতো তালবাহানা করে তাহলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলো মাঠে নামতে বাধ্য হবে। তিনি আরো বলেন ৫ই আগস্টের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকার বিরোধীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদেরকে আটক করেন। কোমরে দড়ি দিয়ে টানতে টানতে জেলে নিক্ষেপ করেন। এখন সেই পুলিশ সদস্যরা প্যারালাইস হয়ে পড়ে আছে। তারা কি এখন পারেন না? স্বৈরাচার সরকারে দোসরদের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে গ্রেফতার করতে। কিন্তু কেন তাদেরকে গ্রেফতার করছে না এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানেন।
সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিবুল রহমান সাগর, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম মারুফ ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নিসহ স্থানীয় নেতারা নেতৃবৃন্দ।