ইতোমধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ পাশ্ববর্তী কাউখালী, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা থেকে রোগী আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ভাসমান এ হাসপাতালে কয়েক শত রোগী উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। মানবসেবায় ব্রতী থাকা “জীবনতরী” নামের ভাসমান হাসপাতালটি ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামক একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা পরিহারযোগ্য প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষে ১৯৯৩ সাল থেকে নদী পথে দেশজুড়ে কাজ করে আসছে।
ভাসমান হাসপাতালটির অফিসার এসকে গোলাম ইসদানি জানান,বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধনকৃত। ভাসমান এ হাসপাতালটিতে প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় তা হলো নদীবাহিত এলাকায় বসবাসকারী সুবিধা-বঞ্চিত দরিদ্র রোগীদের স্বল্প খরচে নাক, কান, গলার রোগের চিকিৎসা ও অপারেশন এবং চক্ষু রোগের চিকিৎসা, অপারেশন ও সহায়ক সামগ্রীর ব্যবস্থা এবং ঠোঁটকাটা, তালুকাটা, আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারীসহ অন্যান্য সেবা দেওয়া হয়। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স । এছাড়া এখানে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ধাত্রী প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫০ টাকা ফি নিয়ে সিরিয়ালের মাধ্যমে এমবিবিএস চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এই সেবায় নিয়োজিত তিনজন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। রোগের উপর নির্ভর করে তাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে অপারেশন করাসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। অপর দিকে সাতদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ভাসমান হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষরা আরও জানান, তারা ১৬ জুলাই স্বরূপকাঠিতে এসেছেন। এর আগেও এখানে দু’বার এসে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এই নিয়ে তৃতীয়বার তাদের আসা। প্রাথমিকভাবে তিন মাস এবং যদি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে ছয়মাসও এখানে থাকতে পারেন বলে জানান।