শাহারিন সুলতানা, অভয়নগর প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়ায় স্বামীর চাহিদা মত যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় দীর্ঘ ১১বছর সংসার করার পর দুই সন্তানসহ স্বামীর ভিটা ছাড়তে হলো স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন কে।
অনেক চেষ্টার পর স্বামীর সংসারে ফিরতে না পেরে অবশেষে আদালতের স্বনাপন্ন হতে হলো তাকে।
ঘটনাটি উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের শাহিদুল মোল্যার পুত্র মিলন হোসেনর (৩৬) সাথে পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার ঘুনী গ্রামের মৃত জিতে খা’র কন্যা ঝর্ণা খাতুন (২৮) এর ৯ হাজার ১টাকা কাবিনে বিবাহ হয়। কয়েক মাস থেকেই মিলন হোসেন তাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। স্বামীর সংসারের কথা চিন্তা করে মাঝে মাঝে পিতার বাড়ি থেকে ৪০ হাজার টাকা এনে দেয় বলে মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে রফিকুল ও ঐশি নামে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এরপর স্বামী মিলন হোসেন আরও যৌতুক এনে দেয়ার জন্য তাল-বাহানা ও নির্যাতন করতে থাকে। যে কারণে তিনি পিতার বাড়ি চলে যান। সেখানে দীর্ঘ দিন অবস্থান করার সুযোগে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঝর্ণা খাতুন কে স্বামীর সংসারে ফিরতে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে স্বামীর বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ এনে গত ০১/০৯/২০১৯ তারিখে।
কিন্তু এতো সব অভিযোগ অস্বীকার করে মিলন হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী হেমান্তা অর্থদন্ডও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। তার বেপরোয়া চলা ফেরা অশোভন আচরণ দিনের পর দিন বেড়েই চলে। মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে হারিয়ে যেত। আবার ১৫ দিন ১মাস পর ফিরে আসত। মিলন হোসেন বলে ১১ বছর সংসার জীবনে সে ৬/৭ বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রতিবারই সে আমার জমানো টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আমি ও তাকে ঢাকা,খুলনা ও নারিকেল বাড়িয়া থেকে উদ্ধার করে এনেছি। তার কর্মকান্ড সম্পর্কে এলাকার সমাজ পতিরা ভালোভাবে অবগত আছেন। ২০১৩ ঝর্ণা খাতুন স্বামী সন্তান ফেলে পালিয়েছে। এতদিন পর সে ফিরে এসে আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করলো। আমি ন্যায় বিচার চাই।