শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টার।
আজ ১১ অক্টোবর ২০২১ দুপুরে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। গুণী এই অভিনেতা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, ইনামুল হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “দুপুরে উনার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
ইনামুল হক ছিলেন একজন বাংলাদেশি অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক। তিনি দীর্ঘকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন।
১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে বুয়েটের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন আন্দোলনমুখী নাটকে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে আইয়ুব খানের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তৎকালীন অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন নাট্যচর্চাকে হাতিয়ার করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সৃজনীর ব্যানারে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ট্রাকে ট্রাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে পথনাটক করেন।
ইতোমধ্যে তার ১৮টি নাটক বিভিন্ন নাট্যপত্রে, বিশেষ ম্যাগাজিনে এবং বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ইনামুল হক-এর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: নির্জন সৈকতে, গৃহবাসী, মুক্তিযুদ্ধ নাটকসমগ্র, স্ট্রিন্ডবার্গ এর দু’টো নাটক, মহাকালের ঘোড়সওয়ার, বাংলা আমার বাংলা ইত্যাদি।
তার স্ত্রী আরেক নাট্যব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম। দুই কন্যাসন্তান রয়েছে এই নাট্য দম্পতির।
নাট্যচর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য ড. ইনামুল হক ২০১২ সালে একুশে পদক ও ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।