শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বেনাপোল : বেনাপোল বাজারে উঠেছে কচি তালশাঁস। গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ক্রেতাদের কাছে তালশাঁসের কদর বেশি। আর পাড়া-মহল্লার ফল বিক্রেতাদের ভ্যানগাড়িতে ডাবের পাশাপাশি মিলছে রসাল কচি তালশাঁস।
‘ঐ দেখা যায় তালগাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐখানেতে বাস করে কানাবগির ছা’—এই চরণগুলো শিশুমনে একটা চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেছে। গাঁয়ে এখন বকের ছানা থাক বা না থাক, গাছগুলো ভরে উঠেছে কচি তালে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাবের পানির পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছে ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদর বেশি। আবার গত কয়েক বছরে ইফতারের উপকরণ হিসেবেও তালশাঁসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
ভ্যানের ওপর তীক্ষ্ণধার দায়ের আঘাতে শক্ত খোলস থেকে সরস তালশাঁস বের করে আনে বিক্রেতা । একটা তালে সাধারণত তিনটি করে শাঁস থাকে। প্রতিটি শ্বাস তিনি বিক্রি করছেন ৪ টাকা করে। আর গোটা একটা তালের দাম রাখছেন ১০ টাকা।
তালশাঁস কেবল স্বাদে ভালো না, শরীরের জন্যও এটা উপকারী। প্রথম উঠেছে, তাই দাম একটু বেশি ।
‘বিক্রেতা বলেন গরমের সময় ডাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তালশাঁস বিক্রি হয়। কিন্তু এখন জোগান কম থাকায় চাহিদা থাকলেও অনেককে দিতে পারছি না।’
সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে তালকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অপ্রচলিত ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে তালেশাঁসের অনেক পুষ্টিগুনে কথা বলা হয়েছে ।
আবার পুষ্টিবিদেরা বলছেন,তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশ জলীয় থাকে। ফলে দ্রুত শরীর শীতল করার পাশাপাশি আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শরীর দ্রুত পানি হারালে তা পূরণ করতে পারে। এ ছাড়া তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে । ফলে সারা দিন রোজার পর অনেককেই পথের পাশের তালশাঁস বিক্রেতার কাছে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে।