ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবার তিনি আচমকাই একটি পণ্যবাহী বোটে চেপে তুতিকোরিন বন্দরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ভারতে ঢোকার কোনো বৈধ নথিপত্র ছিল না তার কাছে। ভারতে ঢোকার পথে তিনি ধরা পড়েন উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে মামলা চলছে আদিবের নামে। তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল মালদ্বীপের বর্তমান সরকার। এর মধ্যেই তিনি তুতিকোরিনে পালিয়ে আসেন পণ্যবাহী বোটে চড়ে। উদ্দেশ্য ছিল ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া।
এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রবীশ কুমার জানিয়েছেন, বিদেশিদের ভারতে ঢোকার নির্দিষ্ট রাস্তা রয়েছে। এদেশে থাকতে গেলে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। তা ছিল না মালদ্বীপের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতির কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সমুদ্রে বোটের মধ্যেই আটক করা হয় আদিবকে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দেশের প্রথম কনিষ্ঠ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বচিত হন আহমেদ আদিব (৩৭)। ওই বছরই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আদিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ বছর মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এখনও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার একটি বোটে ৯ জন ক্রুর সঙ্গে তুতিকোরিনে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সব ক্রুদের কাছে পাসপোর্ট থাকলেও আদিবের কাছে তা ছিল না। তা দেখেই তাকে গ্রেফতার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তার পাসপোর্ট জমা রেখেছে মালদ্বীপ সরকার।