একাত্তর ডেস্ক :
শতবর্ষের পুরাতন ইসলামি শিক্ষা আর দ্বীনিজ্ঞান প্রসারের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ “পদ্মবিলা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা’ র দোকান ভাড়াটিয়ারা অল্প টাকায় ভাড়া নেয়া দোকান ঘরগুলি অন্যের কাছে বেশি টাকায় ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে দীর্ঘদিন ধরে –এমন অভিযোগ উঠেছে।
যশোর সদরের পদ্মবিলা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসাটি দক্ষিন বংগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।দেশের গুরুত্বপুর্ন প্রায় সকল সেক্টরে এই মাদারাস দক্ষ ছাত্রদের কর্তব্যরত পাওয়া যাবে।দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত চেষ্টায় প্রতি বছর এখান থেকে দাখিল,আলিম,ডিগ্রী পাশ করে বের হচ্ছে অগনিত ছাত্র ছাত্রী।বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের আধুনিক চিন্তা ধারার কুসংস্কারমুক্ত ইসলামি শিক্ষার সুতিকাগার শত বছরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এলাকার সুধিজন দ্বারা পরিচালিত এই বিদ্যাপিঠের সুনাম দেশব্যাপি।প্রতিষ্ঠানটির অধীনে প্রায় ৩২/৩৩ টি দোকান আছে যা ভাড়া নিয়ে অনেকে নানা রকম ব্যাবসা করছে।দোকান ঘরগুলি মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের প্রায় সকল সদস্যদের নিয়ন্ত্রনে এমন অভিযোগের সত্যতা খুজতে যেয়ে জানা গেল অদ্ভুত কিছু তথ্য এবং মাদ্রাসার উন্নয়নের নানা প্রশ্নের তীর পরিচালনা কমিটির দিকে
যেমন-
১।মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারটি বেশ বড় এবং দোকান ঘরের গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও দোকান ঘরগুলি জামানত মুক্ত।
২।দোকান ঘর ভাড়ার মালিক (মাদ্রাসা)ও দোকানীর মধ্যে কোনো ডিড বা চুক্তিপত্র নাই।
৩।মাদ্রাসার অনুমোদন ছাড়াই যেখানে সেখানে নতুন ঘর তুলে ব্যাবসা করছে অনেকে পরে নামে মাত্র আলোচনা করে সেটি অনুমোদন করা হয়।
৪।বেশি তাক লাগানো খবর হলো ১৫০/২০০ টাকায় বড় বড় ছাদের ঘর ভাড়া নিয়ে ভাড়াটিয়া সেই ঘর অন্যের কাছে ৫০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে মাদ্রাসাকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জন করছে।
৫। অন্য দোকানে ৫ বছর পর পর ভাড়া বৃদ্ধি হলেও এখানে ১০/১৫ বছরেও ভাড়া বৃদ্ধি হইনি।
এসব নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা,ক্ষোভ থাকলেও দোকান ঘর ভাড়াটিয়া তথা পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা প্রভাবশালী হবার কারনে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।স্থানীয় প্রায় প্রতিটি দোকানে এসব নিয়ে আলোচনা আছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন- মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করতে আসা ম্যানেজিং কমিটির লোকেরাই যদি এমন সুযোগ নেয়,প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল করবে কে?