মাহবুব, তুমি সত্যিই মাহবুব
———————————-
দেশব্যাপী সন্ত্রাস, হত্যা, বোমা হামলা,
এক আতংকিত মৃতুপুরী বাংলাদেশ,
শকুনীরা মেতেছে নতুন নীলনক্সায়,
সব বুঝি আজ করবে শেষ।
শরতকালের স্নিগ্ধ বিকেলে
হাজারো মানুষ এলো ২৩ নম্বরে
তারা চায় এক নিরাপদ জনপদ
তারা চায় স্বাভাবিক জীবন
তারা চায় সারা দিনের কষ্টে ঘামে উপার্জিত অর্থে
শান্তিতে খেতে দুমুঠো ভাত
কিংবা বাচ্চার জন্য ক’ফোঁটা দুধ
তারা চায় স্বাধীন দেশে
মাথা উচুঁ করে বাচঁতে
তারা চায় স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি
মৃত্যুর মিছিলে স্বজনের মুখ দেখতে চায় না তারা।
তাদের সমব্যথী হতে এলেন নেত্রী
প্রতিবাদে মুখর হল ২৩ নম্বর
আকস্মাৎ
বিনামেঘে বজ্রাঘাতের মতো
স্নিগ্ধ বিকেলের আলো মিলিয়ে
বাতাসে এলো ঝাঁঝালো নিঃশ্বাস
মুহুর্মুহু ফুটলো গ্রেনেড
নৃত্যুর নিকষ কালো অন্ধকারে
বাঁচার আকুতিতে কাতরালো শতপ্রাণ।
বিহবলতা না কাটতেই এলো প্ল্যান বি
মুর্মুহু ছুটলো গুলি।
তখনি এগিয়ে এলো একজন
মানববর্ম হয়ে আগলে রাখলো নেত্রীকে
বুকে পিঠে বিঁধলো গুলি
আলিঙ্গন করলো মৃত্যুকে।
কোরআনের সেই শ্বাশ্বত বাণী স্মরি
“যে একটি মানুষকে হত্যা করলো
সে যেন হত্যা করলো সমগ্র মানবজাতি
আর যে একটি মানুষকে বাঁচালো
সে যেন বাঁচালো সমগ্র মানবজাতি”।
সহস্র ঘটনার ভীড়ে
তুমি আজ বিস্মৃত মাহবুব
অথচ তুমি না থাকলে সেদিন
হারাতাম সেই রত্ন
যে চিনিয়েছে বাঙ্গালীকে
বিশ্বসভায় আবার নতুন করে।
তুমি না থাকলে সেদিন
ফিরে যেতাম আবার সেই আইয়ামে জাহেলিয়ায়।
আজ দুফোঁটা তপ্ত অশ্রুজলে
স্মরি তোমায় মাহবুব
মাহবুব, তুমি সত্যিই মাহবুব।