ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আ’লীগের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-মাসুদ চৌধূরী

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

এইচ এম ফিরোজ,চৌগাছা :
যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যলয়ে রোববার বিকাল ৪টায় জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি আলহাজ্ব সহিদুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধূরি। অনুষ্ঠানে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার তারিকুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সহ- সভাপতি আতিয়ার রহমান,আলতাপ হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য দেওয়ান তৌহিদুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান হোসেন,অবাইদুল ইসলাম সবুজ,সোহেল কবীর,দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল আলম রিংকু,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বকুল,প্রচার সম্পাদক চন্নু মিয়া,ত্রান সম্পাদক আব্দুল কাদের,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শামীম আক্তার,সাংস্কৃতিক সম্পাদক তসলিমুর রহমান,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন নাহার,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম,সাজ্জাদ মল্লিক,লিখন হাসান,রুবেল হোসেন,শোভন দেওয়ান,সোহেল দেওয়ান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেহেদী মাসুদ চৌধুরি বলেন,

আজ ৩ নভেম্বর। জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের চার জেষ্ঠ্য নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয় ঢাকার কারাগারে। ওই সময় বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে এই চার নেতাই ছিলেন দলের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এদিকে, আজো সবার মধ্যে একটি প্রশ্নই কাজ করে। ঠিক কি কারণে হত্যা করা হয়েছিল এই চার নেতাকে?

বাংলার এই কৃতি সন্তানদের পরিবারের এখন একটাই দাবি। জাতীয় চার নেতার খুনিদের যাতে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এতে করে জাতি পুরোপুরিভাবে কলঙ্কমুক্ত হবে। আর প্রতিষ্ঠা হবে ন্যায়বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হবার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিশেহারা হয়ে যায়। কেননা, এই চার জেষ্ঠ্য নেতাসহ অনেকেই ছিলেন কারাগারে। অনেকে আত্মগোপনে। আর বাদ বাকি কিছু নেতা প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে হাত মিলান। অনেকে আবার নিজেদের গুটিয়ে নেন রাজনীতি থেকে।

চার নেতার একজন নেতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম পরিবর্তনকে বলেন, জেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা সম্পর্কিত। কারণ মুজিব হত্যাকারী সেনা কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে সে অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের পক্ষে হচ্ছে।

ক্ষমতাসীন মোশতাক বা তার সমর্থকরা চাননি যে তাদের বিরোধী আরেকটি শক্তি শাসন ক্ষমতায় পুনর্বহাল হোক। ওই ধরনের একটা সরকার যদি হতো তাহলে জেলে থাকা সে চারজন ছিলেন সম্ভাব্য নেতা। এ সম্ভাবনা থেকে জেল হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
আজ চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে ৪২ বছর হল। এখন বাংলার মানুষ তাদের খুনিদের বিচার দেখতে চায়। এদের বিচার হলে, স্বাধীনতাবিরোধী-মানবতাবিরোধী শক্তিরা আর কখনোই মাথাচাড়া দিয়ে অন্তত বাংলার মাটিতে উঠতে পারবে না। তাই এটা এখন সময়ের দাবি।

Please follow and like us: