যশোরের কুয়াদায় একটি লুঙ্গির জন্য প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যার অভিযোগ

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

 

জি এম অভি, যশোর অফিস: যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গার ৭ মাইল নামক স্থান থেকে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। নাম ঠিকানা বিহীন এ নারীর লাশ দেখে স্থানীয়রা খবর দেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানায়। পুলিশ যেয়ে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে হস্তান্তর করেন। গত শুক্রবার সকালে উদ্ধার হওয়া লাশটি শনিবার যশোরের আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে সরকারী ভাবে দাফন সম্পন্ন হয়। মানুষ মারা যাবে এবং তার লাশ দাফন হবে এটাইতো স্বাভাবিক কিন্তু এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে এত হৈচৈ কেন ? এ প্রশ্নের  উত্তর খুজতে    ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার কুয়াদা বাজারে সরজমিনে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে যা জানতে পারি তাতে অনেকেরই শরীর শিউড়ে ওঠার মত  । স্থানীয়রা জানান, প্রতিবন্ধী  এ নারী আমাদের কুয়াদা বাজার এলাকায় বেশ কয়েকদিন যাবত ঘোরা ফেরা করতে দেখা গেছে ।  তারা আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার কুয়াদা বাজারে অজ্ঞাত এই নারী বেধড়ক মারপিটের শিকার হন। ঘটনার বর্ননা দেন , প্রত্যক্ষদর্শী জামজামি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছায়ফুল ইসলাম । তিনি জানান, আমি বর্তমানে কুয়াদা বাজারে সিএনজির স্টাটার হিসিবে কাজ করি তাই প্রতিদিনের ন্যায় ব্রহস্পতিবার সকালে স্ট্যান্ডে যাই, তখন হঠাৎ চিঃকার শুনে এগিয়ে যেয়ে দেখি বুলবুলের ওষুধের দোকানের সামনে ওই পাগলিকে এলোপাতারি লাথি ঘুষি মারছেন শহিদুল ইসলাম।   মারপিটের কারন হিসেবে জানতে পারি অজ্ঞাত এ নারী মনিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি ইউনিয়নের মৃত মমিন গাজির ছেলে শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি লুঙ্গি গায়ে জড়িয়ে বাজারে আসেন। সুত্র জানায়, লুঙ্গি গায়ে জড়িয়ে শুয়ে থাকা প্রতিবন্ধী নারীকে   তলপেটে দফায় দফায় লাথি মেরে উলঙ্গ করে লুঙ্গি নিয়ে যান শহিদুল। লাথির আঘাতে তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হয়।  ম্থানীয় সায়ফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডহর সিংহের আহাদ, ভোজগাতি গ্রামের কামরুজ্জামান, তেলের দোকানদার আনিচ, বাজুয়া ডাঙ্গার হায়দার, কৃষক আ: মান্নান(নুনু), ইজিবাইক চালক মোশাররফ, চায়ের দোকানদার শ্যামল, ওষসুধের দোকানদার বাবুল ও বইয়ের দোকানদার আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা এই জগন্যতম ঘটনার বিচার দাবী করেন।  কুয়াদা বাজারের ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন সরদারের ছেলে আনিচুর রহমান জানান, আমি জানতে পেরেছি প্রতিবন্ধী ওই নারী শহিদুলের বাড়ি থেকে একটি লুঙ্গি নিয়ে আসছে তাই শহিদুল তাকে মারপিট করেছে এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক। ডহরসিংয়া গ্রামের মো: আব্দুল্লাহর ছেলে মটর সাইকেল চালক মো: আহাদ আলী জানান, মানসিসক প্রতিবন্ধী ওই নারী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায় হঠাৎ করে তাকে লাথি মারেন শহিদুল।  কুয়াদা বাজার কমিটির সসাধারন সম্পাদক অহেদুজ্জামান বাচ্ছু বলেন, শুনেছি বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবন্ধী এক নারীকে লুঙ্গি চুরির দায়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে আবার সেই নারীর লাশ পাওয়া গেছে শুক্রবার সকালে। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মো: শাজাহান কবির বলেন, প্রতিবন্ধী নারীর এই ঘটনায় এলাকায় এখন শোকের মাতম বইছে। সকলের মুখে এখন একই কথা একটি লুঙ্গির জন্য এভাবে মারা ঠিক হয়নি। লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালী মডেল থানার এস আই কামাল হোসেন বলেন, আমরা জানতে পারি সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গার ৭ মাইলে একজন অজ্ঞাত মহিলার লাশ পরে আছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে হস্তান্তর করি। তিনি আরো বলেন, কি ভাবে কি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয় লাশের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।

Please follow and like us: