শেখ গফ্ফার রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর-সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের গাইদগাছী গ্রামে গরুর ক্ষুরা রোগ মহামারী আকার ধারণ করেছে। চলতি সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশকিছু গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বসুন্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খামার ও কৃষকের প্রায় শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে অনুসারে চিকিৎসা দেওয়ার পরেও রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
জানা যায়, এই ইউনিয়নের দুগ্ধ গাভী ও ষাঁড়ের মোটাতাজাকরণের বেশ খামার রয়েছে। এসব খামারে হাজারের মতো গরু রয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় সব কৃষকের বাড়িতেই গরু রয়েছে।
এরমধ্যে সিংহভাগ গরুই কম-বেশি ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়। তারা দাবি করেন প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে সময়মত পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা। এ কারণে এই রোগটি এখন নিয়ন্ত্রণে নেই । তারা পরামর্শ দিচ্ছেন খামারিদের আতঙ্কিত না হওয়ার।
যশোর-সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের গাইদগাছী গ্রামের খামারি কাজী ফজলুল হক জানান, তার খামারে ষাঁড় ও গাভী মিলিয়ে মোট ৮ টি গরু রয়েছে। বিগত এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খামারের সব গরুই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়।এর মধ্য দুটি গরু মারা যায় ও বাকিগুলোর চিকিৎসা চলছে। তিনি দাবি করেন প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে শুধুমাত্র পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরণের সহায়তা পাননি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার গতকাল এসেছিলেন সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার প্রায় সব খামার ও কৃষকের বাড়ির গরুর মধ্যে এই রোগ দেখা দিয়েছে। এর মধ্য শেখ খবির উদ্দিনের ১ টি, মহাদের কুন্ডুর ২ টি, মোহাম্মদ মোড়লের ১ টি এবং কৃষ্ণপদ দেবনাথের ১ গরু মারা গেছে।
ধীরে ধীরে এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে আশপাশের গ্রামে বেশকিছু গরুর মৃত্যু হয়েছে। ১ মাস আগেও ইউনিয়নের প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ভ্যাকসিন দিয়েছেন এসব গরুকে। তবে প্রশ্ন উঠেছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার।
রোগটি মহামারি আকার ধারণ করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।